ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৫ মার্চ ২০১৬

মার্চে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মার্চে নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বয়ে যাবে মৃদু তাপপ্রবাহ। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। অনুভূত হচ্ছে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের গরম। ঠা-া ও গরম আবহাওয়ায় সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন মৌসুমী জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মার্চ মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় এবং দেশের অন্যত্র ১ থেকে ২ দিন মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্র-ঝড় হতে পারে। মার্চে দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে ৩৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর এপ্রিলে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যঞ্চলে ৩ থেকে ৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় ও দেশের অন্যত্র ২ থেকে ৩ দিন হাল্কা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী অথবা বজ্রঝড় হতে পারে। ওই মাসে দেশের উত্তর ও মধ্যঞ্চলে ২ থেকে ৩টি মৃদু তাপপ্রবাহ এবং এর মধ্যে একটি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপান্তরিত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমালঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। অন্য একটি পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে গেছে। আর মাত্র দু’ ডিগ্রী বাড়লেই শুরু হয়ে যাবে তাপ প্রবাহ। সারাদেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অনুভূত হচ্ছে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের গরম। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি দেশের সব ক’টি সেন্টারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পেয়ে চলেছে। এভাবে হ্রাস পেতে থাকলে গরমের তীব্রতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আর বর্তমানে চলছে ‘মিশ্র আবহাওয়া’। এ সময় সাধারণত সর্দি-কাশি জ্বরসহ বিভিন্ন ভাইরাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৫ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। আর ২০১৬ সালের তাপমাত্রার তীব্রতা গত বছরের চেয়ে মানুষের কষ্টের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
×