ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন জেলায় বাল্য বিয়ে কমেছে ২৫ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ৩ মার্চ ২০১৬

তিন জেলায় বাল্য বিয়ে কমেছে ২৫ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহপ্রবণ দেশের তিন জেলায় শিক্ষায় সহযোগিতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, জেন্ডারভিত্তিক অধিকারের সচেতনতা ও জীবনমুখী দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় শতকরা ২৫ ভাগ বাল্যবিবাহ কমেছে। বাল্যবিবাহ সম্পর্কে মেয়েদের ও অভিভাবকদের সচেতনতা বেড়েছে। একইসঙ্গে নানা বিষয়ে দক্ষতাও বেড়েছে মেয়েদের। বেসরকারী সংস্থার একটি প্রকল্পে নড়াইল, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার নয় হাজারেরও বেশি মেয়ের কার্যকর অংশগ্রহণে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে পপুলেশন কাউন্সিলের মেয়েদের বিবাহ বিলম্বিতকরণ প্রকল্প ‘বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ফর লাইফ স্কিল, ইনকাম এ্যান্ড নলেজ ফর এ্যাডোলেসেন্ট গার্লস : জেনারেটিং এভিডেন্স টু ডিলে ম্যারিজের (বালিকা) ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানানো হয়। ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায় এ প্রকল্প পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং কেন- এ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে গবেষণা পরিচালনা করা হয়। দেশে বাল্যবিবাহ নির্মূল করার লক্ষ্যে গবেষণার ফলাফল এবং করণীয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয় অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেইগবেদার, ঢাকায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মার্টিন ভ্যান হুগস্ট্রেটিন, পপুলেশন কাউন্সিলের সিনিয়র এ্যাসোসিয়েট এবং বালিকা প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. সাজেদা আমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর জেন্ডার এ্যান্ড সোশ্যাল ট্রান্সফরমেশনের সমন্বয়কারী সিমেন মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সমাজে যেসব পরিবার অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ও শিক্ষিত ওইসব পরিবারে বাল্যবিবাহ কম। কিন্তু দরিদ্র পরিবারে এটা বেশি। অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আরও এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যও জোর দিয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাল্যবিবাহ বন্ধে কঠোর ভূমিকা নেয়া হচ্ছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে বাল্যবিবাহ বন্ধে আরও সফল হওয়া সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রকল্পের অধীনে গবেষণায় ওঠে এসেছে, সঠিক বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ে হলে যেসব সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম, স্কুল থেকে ঝরেপড়া, উপযুক্ত চাকরি না পাওয়া, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হওয়া। এমনকি ১৮ বছর বা তার কিছু পরেও যাদের বিয়ে হয় তারাও সামাজিকভাবে একাকীত্ব ও দরিদ্রতার শিকার হন।
×