ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা

দৌলতপুরে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও মনোনয়ন বঞ্চিত

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দৌলতপুরে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও মনোনয়ন বঞ্চিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি তারিক আল মামুন। এই ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আড়িয়া ইউনিয়নের বড়গাংদিয়া হাইস্কুল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাচাইয়ের জন্য বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নাল হকের সভাপতিত্বে ওই সভায় ভোটাভুটিতে তারিক আল মামুন ৬৬ সদস্য কমিটির সর্বোচ্চ ৪৩ ভোট পেয়ে একক প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন সভপাতির স্বাক্ষরিত এই ফলাফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের হাতে পৌঁছায়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তারিক আল মামুনের নামটি বাদ দিয়ে সদ্য বিএনপি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে যুবলীগের রাজনীতিতে আসা সাঈদ আনসারী বিপ্লবের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ অফিসে পাঠিয়েছে। অথচ বিপ্লব ১৪ ফেব্রুয়ারির ইউনিয়নের ওই বর্ধিত সভায় উপস্থিতই ছিলেন না, ভোটও পাননি। এমনকি ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় থেকে পাঠানো তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানেও বিপ্লব উপস্থিত হননি। এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফুদ্দিন রিমন বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে তারিক খুবই উপযুক্ত। তাঁর ফলাফলের কপি আমি জেলা কমিটির হাতে দিয়েছি।’ এদিকে আড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নাল হক বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি! যে একটিও ভোট পাননি, বর্ধিত সভায় উপিস্থতও ছিলেন না। এছাড়া তাঁর পুরো বংশ সারাজীবন ধানের শীষে ভোট দিয়ে আসছে। কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম কেন্দ্রে পাঠোনো হলো। এই সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রার্থীদের নিয়ে জেলায় বর্ধিত সভা শুরুর আগে জেলা নেতারা বিভিন্ন ইউনিয়ন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন। সেই সই ব্যবহার করে ইচ্ছামতো প্রার্থীর নাম বসিয়ে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’ এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দীন আহমেদ বিপ্লবের নাম আলাদা করে আড়িয়া ইউনিয়নের একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁর নাম পাঠানো হয়েছে।’ কিন্তু ইউনিয়নের বর্ধিত সভায় বিপ্লব তো উপস্থিতই ছিলেন না, কোন ভোটও পাননি। তারিক আল মামুন সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তাহলে বিপ্লবের নাম আসলো কেন? আফাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে তাই পাঠিয়েছি।’ বিপ্লব তো বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আছে অন্যদল থেকে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারবে না। তাহলে আপনি কিভাবে তাঁকে প্রার্থী দিলেন? ‘না, কেন্দ্র থেকে এই ধরনের কোন লিখিত নির্দেশনা আমি পাইনি।’
×