ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

উবাচ

মাছের রাজা ইলিশ দেশের রাজা পুলিশ স্টাফ রিপোর্টার ॥ একজন কবি কার্ফুর মধ্যে রাতে রাস্তায় বের হলে পুলিশ তাকে আটকালো। বলল কি ব্যাপার দেশে কার্ফু চলছে আপনি কার্ফুর মধ্যে বের হয়েছেন কেন? কবিতো কার্ফুও বোঝে না কার্ফুর সঙ্গে কবির নিবিড় কোন সম্পর্কও নেই। কবি বলল, আমিতো কবি আমিতো কার্ফুও বুঝি না। পুলিশ বলল, তুমি যে কবি কি করে বুঝবো। পুলিশ বলল, কেন এই যে আমার লম্বা লম্বা গাল ভরা দাড়ি, অপরিষ্কার পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলা ঝুলছে এসবইতো কবির ট্রেডমার্ক। পুলিশ বলল, না এসবে হবে না আপনাকে কবিতা বলতে হবে। তখন পুলিশের সিপাহীরা গোল হয়ে বসলেন। কবি খানিকটা উঁচু জায়গাতে দাঁড়ালেন। সবাই অধীর আগ্রহে কবি কি কবিতা শোনান। কবি হঠাৎ বলে উঠলেন ‘মাছের রাজা ইলিশ, মানুষের রাজা পুলিশ’। তখন পুলিশের মধ্যে সোরগোল শুরু হলো সকলে বলাবলি করলো এইতো আসল কবি ইনিইতো দেশের সব থেকে বড় কবি। কারণ পুলিশের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাক্সক্ষা এই কথা আর কেউ বোঝে না, এই কবি বুঝতে পারছেন। এরপর কবি কবির পথে পুলিশ পুলিশের কাজে। কিন্তু দিন বদলাইছে। কবির মতো পুলিশরা না খাওয়া পার্টি না। তারা কোন দিন লেখে নাই ভাতদে হারামজাদা নইলে মাত্রচিত্র খাব। আকাশের চাঁদ ঝলসানো রুটি। তাদের ঘি, মাখন, সয়াবিন তেল আর মুসুর ডালের উন্নত প্রোটিন খাওয়া মাথা। আর কবিদের মতো তারা মানুষ, মনজগত আধ্যাত্মিক লাইনের ভাবনা-চিন্তা করে না। কাজেই তারা মানুষের রাজা হতে চায় না, চায় দেশের রাজা হতে। সঙ্গত কারণে পুলিশ সপ্তাহে সিটি কর্পোরেশনের এক পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক কর্মকর্তাকে মারতে মারতে বলছে মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। সময়ের সঙ্গে পুলিশের এই বিবর্তন খুব জরুরী ছিল বৈকি! না হলে পুলিশতো এর প্রতিবাদ করতো, অন্তত বলতো ভুলে হয়ে গেছে আমরা আসলে তোমাদের বন্ধু। কিন্তু কই কেউতো তা করলো না। অনড় স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ তো বটেই সারাদুনিয়ার রাজনীতিবিদদের মধ্যে সব থেকে নড়বড়ে, টালমাটাল সিদ্ধান্ত কে নেন নিশ্চয়ই তিনি আমাদের সকলের প্রিয় এইচ এম এরশাদ। এমনও বলছে নির্বাচনে গেলে আমি কিন্তু নিজের মাথায় নিজে গুলি করে দেব। পরে অবশ্য তিনি বলছে আরে না সব মিথ্যা কথা। কিন্তু গণমাধ্যমেতো বিপুল হুলুস্থুল। সম্প্রতি রংপুরে বসে দলের কো- চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন নিজের ছোট ভাইকে। এরপর তো তিনিই যায় যায় অবস্থা। ঘরেই আগুন জ্বলে গেল। রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করে দিলো মহাসচিব বাবলু। এরশাদের সিদ্ধান্তে নারাজ রওশনও। সারাদিন দলের এমপিদের নিয়ে বৈঠক করলেন। এসব দেখে শুনে রংপুর থেকে ঢাকায় উড়াল দেন এরশাদ। জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দায়িত্বে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে মহাসচিবের পদ থেকে বাবলুকে অব্যাহতি দেন। জায়গায় বসে মহাসচিব হিসেবে রুহুল আমিন হাওলাদারের নাম ঘোষণা করেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে রওশনের নেতৃত্বে সংসদীয় দলের বৈঠকে অংশ নেন এরশাদ। সেখানে অনেকটা তোপের মুখে ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ। তার সকল সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বৈঠকে। জবাবে এরশাদ বলেছেন, মরার আগ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে অটল থাকবো। এখন দেখার বিষয় কতক্ষণ অটল থাকতে পারেন?
×