ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাভারে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের অবহেলা

পানিবন্দী ৫০ পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

পানিবন্দী ৫০ পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ২০ জানুয়ারি ॥ পৌরসভার উলাইলে অবস্থিত একটি তৈরি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে গে-ার রাজাবাড়ি ও টিয়াবাড়ি গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এর ফলে মানুষের ঘর-বাড়ি, গাছপালা ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তাঘাটে রাত কাটাচ্ছে কয়েকটি পরিবার। হাত-পায়ে নানা চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার মডেল থানাধীন উলাইল এলাকায় অবস্থিত ‘আল মুসলিম’ নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানা। এ কারখানায় শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি না চালিয়ে কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি ড্রেন দিয়ে রাজাবাড়ি ও টিয়াবাড়ি গ্রামে ছেড়ে দেয়। কিন্তু, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না করায় গ্রামের দিকে পানি বাহিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এতে রাজাবাড়ি ও টিয়াবাড়ি গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দেয়া হলেও তাদের অবহেলায় তাদের পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগে কোন কর্ণপাত না করে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ পানি ছেড়ে দিচ্ছে। এছাড়াও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পানিবন্দী হওয়ার ফলে তাদের লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ওই দু’টি গ্রামের অনেক বাড়িঘর পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে অনেক পরিবার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। গ্রামের যাতায়াতের রাস্তাঘাটসহ অনেক ফসলাদি জমির ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ব্যাপারে ‘আল মুসলিম’ পোশাক কারখানার এজিএম (সিকিউরিটি) ফরহাদ হোসেন জানান, গ্রামবাসীর অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। পাঁচ বছরেও মেলেনি বিদ্যুত সংযোগ স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ছইল গ্রামের তিন শত বিঘা জমিতে এবারো বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদাপত্রের বিপরীতে প্রায় দুই লাখ টাকা জমা দিয়েও গভীর নলকূপের বিদ্যুত সংযোগ পাচ্ছে না গত ৫ বছর ধরে। এই গ্রামে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থার (বিএডিসি) একটি পাম্প হাউস। ফলে বিদ্যুতের অভাবে সেচ পাম্পটি কাজে চালু করা যাচ্ছে না। বিএডিসির রংপুর-নীলফামারী সেচ কর্মসূচীর স্কিমের ব্যবস্থাপক আবদুস ছালেক জানান, ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি পর্যন্ত সেচনির্ভর বোরো চাষের সময়। অথচ সেচের সুবিধা না থাকায় এ এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদ করতে পারছে না। পাঁচ বছর ধরে প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে বোরো চাষ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি বলেন, গত ২০১০ সালের ১৬ জুন বিএডিসির গভীর নলকূপ স্কিমের জন্য তাঁরা ২ লাখ ১০ হাজার ২৪ টাকা পল্লী বিদ্যুতকে পরিশোধ করেন। চাহিদাপত্রের বিপরীতে ওই টাকা ট্রান্সফরমারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য রংপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ কে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু বিদ্যুত সংযোগ দিচ্ছে না পল্লী বিদ্যুত। এ নিয়ে বারবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
×