ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাত্র ৬২ জনের হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬

মাত্র ৬২ জনের হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিশ্বের মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে বাকি মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরিতে অক্সফাম অক্টোবরে প্রকাশিত ক্রেডিট সুইসের প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য ব্যবহার করেছে। সূত্র : গার্ডিয়ান। ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান যে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে অক্সফামের প্রতিবেদন থেকে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬২ ব্যক্তির হাতে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা সবচেয়ে দরিদ্র ৫০ শতাংশ মানুষের সম্পদের সমান। বর্তমানে একজনের কাছে ৬৮ হাজার ৮০০ ডলার মূল্যের নগদ অর্থ ও সম্পত্তি থাকলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ শতাংশের একজন আর সাত লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যের নগদ অর্থ ও সম্পত্তি থাকলে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের একজন। বন্ধকী ছাড়াই লন্ডনে যার গড় মানের একটি বাসা আছে, তিনি সম্ভবত সেই ১ শতাংশের একজন। তবে অতিধনীদের বিষয়ে তথ্য পাওয়া কঠিন হওয়ায় এসব পরিসংখ্যানে কিছু তথ্যভ্রান্তি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রেডিট সুইস। যেমন ১০ শতাংশ সম্পদশালীর সঙ্গে ১ শতাংশ সবচেয়ে সম্পদশালীর সম্পদের যে তুলনা তুলে ধরা হয়েছে তাতে ‘১ শতাংশের তথ্যেই ভুল থাকার সম্ভাবনা বেশি’। অক্সফামের ধারণা, গত বছরই সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ মানুষের সম্পদ বাকি ৯৯ শতাংশের সম্পদকে ছাড়িয়ে গেছে। পৃথিবীর মাত্র ৬২ জন ধনকুবেরের হাতে যে পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ আছে তা পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যার সম্মিলিত ধনসম্পদের সমান বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফাম। সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের ঠিক আগে প্রকাশ করা এই রিপোর্টে অক্সফাম আরও বলেছে, বিশ্বের ‘সুপার রিচ’রা ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছেন অথচ গরিবরা আরও বেশি দরিদ্র হচ্ছেন। সবচেয়ে ধনী ৬২ জন ধনকুবেরের হাতে মোট সম্পদের পরিমাণ ২০১০ সালের তুলনায় বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। একই সময় বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ৪১ শতাংশ। সুপার রিচ ৬২ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আমেরিকান, ১৭ জন আবার ইউরোপীয়। বাকি ধনকুবেরদের বেশিরভাগই চীন, মেক্সিকো, জাপান, সৌদি আরব অথবা ব্রাজিলের বাসিন্দা। অক্সফাম এই পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, বিশ্বে যে ক্রমেই অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে এ রিপোর্ট তারই প্রমাণ। অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা বলছেন, ‘বৈষম্যের ফলে যে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে বিশ্বনেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ঠিকই, কিন্তু এখনও তাদের কাছ থেকে এর মোকাবেলায় কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ কিন্তু আমরা দেখিনি।’
×