ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

রাজশাহীতে ছাত্রকে গাছে বেঁধে  নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চারঘাটে গাছের সঙ্গে বেঁধে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শনিবার গভীর রাতে উপজেলার ভায়ালীপুর ইউনিয়নের সিংড়াকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার ভোরে পরিবারের সদস্যরা আহত পরীক্ষার্থী আব্দুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আব্দুর রহমান একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে। পরিবারের সদস্যরা জানায়, শনিবার গভীর রাতে আব্দুর রহমান বাড়ির বাইরে বের হলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ ও জলিলের ছেলে আলমগীরের নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একটি দল তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে মাঠের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে বেধে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে চলে যায়। ভোরে আব্দুর রহমানের বড় ভাই বাদল রহমান খেজুরের রস সংগ্রহ করতে গিয়ে আব্দুর রহমানকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আব্দুর রহমানের বড় ভাই বাদল রহমান জানান, একই এলাকার আবু সাঈদ ও আলমগীরের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে মামলাও চলছে। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। এরই প্রতিশোধ নিতে আসামিরা আব্দুর রহমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করেছে বলেও অভিযোগ করেন বাদল। বরিশালে বৃদ্ধা স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, সালেহা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে তার বসতঘর ভেঙ্গে নিয়েছে প্রতিপক্ষের প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রব গাজীর স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, তার একমাত্র পুত্র জামাল গাজী জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করে আসছিলেন। তিনি আরও জানান, তার সঙ্গে জমা নিয়ে একই গ্রামের ছিদ্দিক হাওলাদারের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে শুক্রবার গভীর রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে (সালেহা বেগমকে) ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে তার পরনের কাপড় দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধম প্রহার করে। পরবর্তীতে ছিদ্দিক ও তার সহযোগীরা ওই রাতেই তার ঘরের সকল মালামাল লুটপাট করে দোচালা টিনের পুরো ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা সালেহা বেগমকে হাত ও মুখসহ গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন।
×