ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধুরাই স্বপ্নকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে রাখে

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫

বন্ধুরাই স্বপ্নকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে রাখে

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আলিফ আহম্মেদ স্বপ্নের খুনের কথা এখন জেলার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। তারা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এত সামান্য কারণে একটি নিরপরাধ কিশোরকে তাদের বন্ধুরা এভাবে খুন করতে পারে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বন্ধুদের বাড়ি যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন। শুক্রবার দিনভর আদালতে আসামিদের জবানবন্দী নিয়েছেন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাইনুদ্দিন। স্বপ্নের বাবা শহরের সরদারপাড়ার খাদ্য ব্যবসায়ী সুলতান আহম্মেদ গত ২৪ ডিসেম্বর সদর থানায় রিফাত মোর্শেদ রিফাত (১৫), আজিরুল ইসলাম আকাশ এবং মোর্শেদা পারভিনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে আলিফ আহম্মেদ স্বপ্ন বাড়িতে নাস্তা না খেয়ে বন্ধু রিফাতের বাড়ি যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের পক্ষ থেকে ২২ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আলিফ আহম্মেদ স্বপ্ন (১৪) নিখোঁজ হওয়ার ৪র্থ দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভেলাকোপা এলাকার হানাগড়পাড়ার সিনিয়র স্টাফ নার্স মোর্শেদা বেগমের বাড়ির ল্যাট্রিনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোর্শেদা বেগমকে বাড়ি থেকে ও তার পুত্র রিফাতকে ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জবানবন্দীতে রিফাত মোর্শেদ রিফাত জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর দুপুর বেলা তার বন্ধু আজিরুল ইসলাম আকাশ তাদের বাসায় আসে। কুড়িগ্রাম বাজারে একটি জ্যাকেট কিনবে বলে জানায়। ওই দিন সে তার বাসায় রাত কাটায়। রাতেই তারা পরিকল্পনা করে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার পুত্র স্বপ্নকে বাসায় ডেকে আটক করে টাকা আদায় করবে। এরপর তারা মার্কেটিং করবে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে পরিকল্পনা অনুযায়ী রিফাত তার বন্ধু স্বপ্নকে বাসায় ডাকে। এ সময় তার মা সিনিয়র স্টাফ নার্স মোর্শেদা পারভিন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতলে কাজের জন্য চলে যান। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৬ ডিসেম্বর ॥ ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হালিমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রথমসারির ৫ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও ভূঞাপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মেয়রপ্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের পক্ষে কাজ না করে প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করায় তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুক্রবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের স্বাক্ষরিত চিঠিতে আব্দুল হালিম, আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ ও মিনহাজ উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া তাদের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিচয়সহ দলীয় সকল পরিচয় প্রদান থেকে বিরত থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়।
×