ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি ॥ বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন

উঠতি ফসল ও বাড়িঘর লণ্ড ভণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৭ এপ্রিল ২০১৫

 উঠতি ফসল ও বাড়িঘর লণ্ড ভণ্ড

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ কালবৈশাখী ঝড়ে বগুড়ার ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। এছাড়া খুলনা, রাজশাহী ও ঝিনাইদহে উঠতি ফসল ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুত সংযোগ। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। বগুড়া ॥ টিনের চালার যে ৮০ শতাংশ বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে তা মেরামতের মিস্ত্রি সহজে মিলছে না। যাও বা মিলছে দর হাঁকা হচ্ছে কয়েকশ’গুণ বেশি। ঢেউটিন ও বাঁশের দামও রাতারাতি বেড়ে হয়েছে কয়েকশ’গুণ। বিদ্যুতের যে ক্ষতি হয়েছে গত ৫০ বছরেও তা হয়নি- এমনটি জানিয়েছেন বিদ্যুত প্রকৌশলীগণ। গোটা শহর ও উপজেলা এলাকায় তার ছিঁড়ে ও পোল পড়ে একেবারে ল-ভ- অবস্থা। বগুড়ায় এই প্রথম বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে ৩৩ কেভি লাইনের সংযোগ ছিঁড়ে বিধ্বস্ত হয়ে সরাসরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খুলনা ॥ ঝড়বৃষ্টিতে বোরো ধান, তিলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কেটে রাখা পাকা ধান জমিতে জমে থাকা পানিতে ভাসছে। ঝড়ো হাওয়ায় ধান ও তিলের গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। খুলনা পল্লী বিদ্যুতের কয়েকটি স্থানের খুঁটি ভেঙ্গে তার ছিঁড়ে পড়ায় ডুমুরিয়া এলাকায় মারাত্মক বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। রবিবার বিকেলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও সোমবার ভোরে বৃষ্টি হয়। রাজশাহী ॥ আমসমৃদ্ধ দুই উপজেলা চারঘাট ও বাঘায় ঝরে পড়েছে অন্তত সাড়ে চার কোটি টাকার আমগুটি। প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কালবৈশাখীর আঘাতে ঘরবাড়ি, গাছপালা, মুরগির খামারসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসার টিন উড়ে গেছে। জেলার বাঘা, চারঘাট বাগমারা, পবা ও পুঠিয়ায় আমবাগান, কলাবাগান ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসল নিয়ে এ এলাকার কৃষকরা এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। ঝিনাইদহ ॥ কালবৈশাখী ঝড়ে শৈলকূপা উপজেলার দিগনগর, কাঁচেরকোল, সারুটিয়া, ত্রিবেনী, মনোহরপুর, মির্জাপুর ইউনিয়ন ও বাখরবা, কাতলাগাড়ি, সিদ্ধি গ্রামসহ অন্তত ৫০টি গ্রাম ল-ভ- হয়ে গেছে। বিধস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক কাঁচা বাড়িঘর। এতে অন্তত ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
×