ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার 

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার 

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কলাগাছের শহীদ মিনার

আমতলী উপজেলার ২২৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০০ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৭২ বছরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দ্রুত উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ২২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ১৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৩টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ২৯ ও সাতটি কলেজ রয়েছে। উপজেলার ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি কলেজ ও ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। অবশিষ্ট বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।

উপজেলার কোনো মাদ্রাসায়ই শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর কলাগাছ ও বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। এ ছাড়া যেগুলোতে শহীদ মিনার রয়েছে, সেগুলোও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকে। এগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। 
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদ সেলিম বলেন, উপজেলার ১২টি বিদ্যালয় ও দুটি কলেজে শহীদ মিনার আছে। কিন্তু কোনো মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রায়োজন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ভাষা শহীদদের পরিচয় জানতে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা স্থানীয় পর্যায়ে অর্থ সংগ্রহ করে শহীদ মিনার নির্মাণ করবেন।

বাকেরগঞ্জ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল থেকে জানান, জেলার ৩৬৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। উপজেলায় ২৮৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও মাত্র ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে, বাকি ২৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই শহীদ মিনার। এ ছাড়াও ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও শহীদ মিনার রয়েছে ৫৬টিতে, বাকি ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়াও এই উপজেলায় ২৪টি কলেজ থাকলেও ১৬টি কলেজে শহীদ মিনার রয়েছে, বাকি আটটি কলেজে নেই শহীদ মিনার। উপজেলায় ৬৩টি মাদ্রাসা থাকলেও মাত্র আটটি মাদ্রাসায় রয়েছে শহীদ মিনার, বাকি ৫৫টি মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আমি উপজেলা সমন্বয় মিটিংসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আলোচনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে, শহীদ মিনার নির্মাণে কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই কারও। 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার জানান, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা দরকার, তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই তারা অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে একুশে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।

×