ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

২০২৩ সালেই পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে ॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮

২০২৩ সালেই পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে ॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বিশ্বমানের পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে রাশিয়া হতে ভিভিইআর-১২০০ মডেলের পাঁচ স্তর নিরাপত্তা বিশিষ্ট দুইটা নিউক্লিয়ার রি-এ্যাক্টর স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে। দুই রি-এ্যাক্টর হতে ১২শ’ মেগাওয়াট করে মাট ২৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদিত হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুত সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এ্যান্ড এলাইড সায়েন্সেস (ইনমাস) সমূহে বিশ্বমানের পরমাণু চিকিৎসা সেবাদানের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। বিদেশ হতে আমদানীকৃত খাদ্যদ্রব্যের তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষা করার জন্য বিশ্বমানের যন্ত্রপাতি যেমন হাই পিওরিটি জারমিনিয়াম ডিটেক্টর (এইচপিজেই) স্থাপন করা হয়েছে। দেশজ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী জীবাণুমুক্তকরণ, খাদ্য ও খাদ্যজাত দ্রব্যাদির স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা সেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য রফতানিকারক দেশ হতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীনস্থ বিভিন্ন কেন্দ্র/প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান আরও জানান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বিশ্ববাজারে প্রযুক্তি পণ্য ও সেবার প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত বাজারে টিকে থাকবার সক্ষমতা অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় অশুল্ক বাঁধা দূরীকরণের নিমিত্ত অর্থাৎ কারিগরি বাঁধা উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিকমানের ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেট্টোলজি প্রতিষ্ঠা করেছে। এই ইনস্টিটিউটের সেবাসমূহের মধ্যে যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন সেবা, সার্টিফাইড রেফারেন্স ম্যাটেরিয়ালস উৎপাদন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কেমিক্যাল মেজারমেন্ট অন্যতম। ছাত্র-ছাত্রীরা বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে ক্রমশঃ অনাগ্রহ হয়ে পড়ছে- এমন এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের প্রত্যেক মানুষের হাতে এখন আধুনিক বিজ্ঞান যন্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। দেশের সব মানুষের হাতে এখন মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা বিশ্বপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, দেশ আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসবে, শিক্ষার্থীরা নিজের প্রয়োজনেই বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে পড়বে।
×