ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

নিজামীর মামলা আজকের আপীল বিভাগের কার্যতালিকায়

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিজামীর মামলা আজকের আপীল বিভাগের কার্যতালিকায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যদ-প্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপীল মামলা আগামীকাল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। সোমবার বিকেলে সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নিজামীর মামলাটি মঙ্গলবার আপীল বিভাগের কার্যতালিকায় ৭ নম্বরে রাখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চে আজ থেকে আপীল শুনানি শুরু হতে পারে। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ নবেম্বর দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ আপীলের এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হচ্ছেন জয়নুল আবেদিন তুহিন। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপীলে মোট ১৬৮টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আসামি নিজামীকে মৃত্যুদ- প্রদান করে। ২৯ অক্টোবর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনক্সা বাস্তাবায়ন, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন সম্পত্তি ধ্বংস দেশত্যাগে বাধ্য করায় আলবদর বাহিনীর প্রধান বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে মৃত্যুদ- প্রাপ্ত আসামি জামায়াতের ইসলামীর বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৬টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। ৪ অভিযোগে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মুত্যুদ-ের আদেশ প্রদান করে ট্রাইব্যুনাল। অপর ৪টি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীন করাদ- দেয়া হয়েছে। বাকি ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান রায়ে উল্লেখ করেন, এই অপরাধের পরও যদি ফাঁসি না দেয়া হয়, তাহলে তা হবে বিচারের ব্যর্থতা। ট্রাইব্যুনাল তার রায়ের পর্যবেক্ষণে আরও বলেছেন, নিজামীকে ২০০১ সালে মন্ত্রী বানানো ভুল ছিল। এটাকে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গালে চড় মারার শামিল। আলবদর বাহিনী সম্পর্কে ট্রাইব্যুনাল বলে, নিজামী শুধু আলবদর বাহিনীর প্রধানই ছিল না, এটি গঠনের ক্ষেত্রেও তার অনেক ভূমিকা ছিল। আলবদর বাহিনী ছিল ছাত্র সংঘের ‘এ্যাকশন সেকশন’। স্পষ্টতই ছাত্রসংঘ ও আলবদরের ওপরে নিজামীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ ছিল। নিজামী মনপ্রাণ দিয়ে শুধু বাংলাদেশের বিরোধিতাই করেনি, সে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিল। বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরী, আজহারুল হক ও হুমায়ুন কবিরের হত্যাকা-ের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় হয়েছে বলেও মনে করে ট্রাইব্যুনাল।
×