ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ মঞ্চ কাঁপানোর প্রত্যয় আরাফাত-তাইজুলের

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বকাপ মঞ্চ কাঁপানোর প্রত্যয় আরাফাত-তাইজুলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এই দলটি স্পিনে দুর্বল। এ ম্যাচটিতেই হয়ত সাকিব আল হাসানের সঙ্গে স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও আরাফাত সানি খেলার সুযোগ পেতে পারেন। এছাড়া আর কোন ম্যাচেই হয়ত তাইজুল ও আরাফাতকে একসঙ্গে খেলতে দেখা যাবে না। তবে যে ম্যাচেই সুযোগ পাবেন তা কাজে লাগানোর প্রতিজ্ঞাই সোমবার বিশ্বকাপের উদ্দেশে শুরু হওয়া প্রথমদিনের অনুশীলন পর্ব শেষ করলেন আরাফাত ও তাইজুল। সুযোগ পেলেই বিশ্বকাপের মঞ্চ কাঁপানোর, মাতানোর অপেক্ষাতেও আছেন প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলার প্রতীক্ষায় থাকা এই দুই স্পিনার। তাইজুলতো বলে দিলেন সেরা দশে থাকার লক্ষ্যের কথাই। আরাফাত সানিই যেমন বললেন, ‘সবারই একটা স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলার। লক্ষ্য বলতে প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা যেমন পরিকল্পনা করি, বিশ্বকাপ বলে যে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করব বিষয়টা এমন নয়। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমার কাছে ভিন্নরকম। যেহেতু এগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আমি সেভাবেই পরিকল্পনা করব কিভাবে ভাল ক্রিকেট খেলা যায়। তাইজুল এবং আমার বোলিংয়ে পার্থক্য আছে। তাইজুল ফ্লাইট দিয়ে টার্ন করে বল করে। আমারটা হচ্ছে উইকেট টু উইকেট। রান চেক দিয়ে বোলিং করার চেষ্টা করি। আমার পরিকল্পনা সব সময় থাকে আমি উইকেটে কিভাবে রান কম দেব। আমি যদি আমার সাইড থেকে বোলিং করে কম রান দিতে পারি সেটা দলের জন্য বেনিফিট হবে।’ আরাফাত আরও জানান, ‘ওখানে (অস্ট্রেলিয়ায়) একটু বাউন্স বেশি হবে। আমাদের উইকেটটা লো হওয়ায় হয়ত আমরা সহজে বল করতে পারি। হয়ত বোলিংটা একটু সহজ হয় আমাদের জন্য। এটা নিয়ে আমরা এখন থেকেই কাজ করছি। আমরা যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় দুই সপ্তাহ আগে যাব, এটা নিয়ে আমরা কাজ করার একটা সুযোগ পাব। আমরা তিন বিভাগে ভাল করতে পারলে যে কোন দলকে হারানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। স্পিনারদের জন্য একটা সুবিধা হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো অনেক বড়, পেস বলে হিট করলে দেখা যাবে সহজেই বাউন্ডারি হচ্ছে কিন্তু স্পিন বলে সেটা নাও হতে পারে। স্পিনে সেটা কঠিন হবে সেক্ষেত্রে এই সুবিধাটা আমরা পেতে পারি। বিশ্বকাপ স্বপ্নের মতো; কিন্তু স্বপ্নের মধ্যে থাকলে হবে না। এখান থেকে বের হতে হবে। আমরা ম্যাচ ভাল খেলব এটাই করতে হবে আমাদের।’ বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে আরাফাত বলেন, ‘আমি আসলে সেভাবে কোন স্বপ্ন দেখি না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের সঙ্গে ৩ ম্যাচে ১০ উইকেট পাওয়ার পর স্বপ্নটা ভালভাবে দেখা শুরু করি। যেহেতু তারপর আমাদের আর কোন ম্যাচ ছিল না। যেহেতু আমি পারফর্ম করেছি সেই স্বপ্ন আমি দেখতেই পারি। তবে নিশ্চত ছিলাম না। আমার কাছে মূল বিষয় হচ্ছে ক্রিকেট। সেটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ হোক আর ঘরোয়া ক্রিকেট হোক।’ তাইজুল ইসলাম একটি ওয়ানডে খেলেই বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছেন। ভীষণ উচ্ছ্বসিতও এ স্পিনার। বলেছেন, ‘চেষ্টা করব সাকিব-মাশরাফি এবং আরও যারা সিনিয়র ক্রিকেটার খেলেছে তাদের সহযোগিতা নেয়ার। এখনই তারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিগ-ব্যাশ এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের টেস্ট সিরিজগুলো আমরা টিভিতে দেখেছি। আমার মনে হয় এটাতে অনেক বেনিফিট আসবে।’ উইকেট নিয়ে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা খুব একটা সমস্যা হবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলেছি। ওখানেও কিন্তু বাউন্সি উইকেট। আল্লাহর রহমতে ওখানে ভাল হয়েছে। আত্মবিশ্বাস রাখাটা অনেক বড় ব্যাপার। যতটা আত্মবিশ্বাস রাখব ততটাই আমাদের জন্য ভাল হবে। আমি একটা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপে এসেছি, এটা নিয়ে চিন্তা করছি না; ভাবছি পারফর্মেন্স নিয়ে।’ সেরা দশে থাকার কথাই বলে দিলেন তাইজুল, ‘বিশ্বকাপ নতুন জায়গা একটা সুযোগ পেয়েছি। প্রথমে দেশের কথা ভাবব দেশকে কী দেয়া যায়। এরপর ব্যক্তিগত চিন্তা করব। একটা লক্ষ্য থাকবে নাম্বার দশে আসার জন্য।’ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তাইজুল জানান, ‘স্বপ্নতো মানুষ হঠাৎ করে দেখে না। আগ থেকেই দেখে ভাল জায়গায় যাব। যখন টেস্ট সিরিজ খেলেছি তখন চিন্তা করেছি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার। নিজের মনের মধ্যে কাজ করেছে যখন সুযোগ পাব তখন এমন কিছু করব যাতে আমি আরও ভাল জায়গায় যেতে পারি। আল্লাহর রহমতে আমার সেই স্বপ্নটা পূর্ণ হয়েছে।’
×