ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভারতে লকডাউন ভেঙে রক্তদান কর্মসূচি, আটক উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত: ০২:৫৫, ১১ এপ্রিল ২০২০

ভারতে লকডাউন ভেঙে রক্তদান কর্মসূচি, আটক উদ্যোক্তারা

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী বামদের রক্তদান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও উদ্যোক্তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে ‘লকডাউন ভাঙার দায়ে’ দুঃখপ্রকাশ করলে আটকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা পৌরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে বামদের আয়োজনে করা রক্তদান কর্মসূচি পুলিশ পণ্ড করে দেয় বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শুক্রবার সংগৃহীত রক্ত ব্লাডব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিয়ে রওনা দিতেই পুলিশ এসে উদ্যোক্তাদের মধ্যে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের ভাষ্য, সরকারি ঘোষণার বাইরে গিয়ে এই রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছিল তারা। কোনো অনুমতি না নিয়েই তারা শিবির বসিয়েছিল। তাদের এই আয়োজনের কারণে লকডাউনের সময়ে রাস্তায় ভিড় বাড়ছিল। যে কারণে কর্মসূচিটি বাতিল করে দুজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, লকডাউন ভাঙার জন্য থানায় দুঃখপ্রকাশ করেছি। তবে পুলিশকে বলেছি, চাল চুরি করিনি, কালোবাজারিও করিনি। রক্তের সংকটের মধ্যে মানবিক কাজ করেছি আমরা। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের বাস্তব প্রয়োজনেই রক্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল সেখানে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, রোববার ছাড়া সপ্তাহের বাকি সব দিন শুধু পুলিশই রক্তদান করতে পারবে, অন্য কেউ নয়। এমন ঘোষণার পর থেকেই কলকাতার বিভিন্ন স্থানে রক্তদান কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা ও এর আশেপাশের কয়েকটি জেলায় ৭৬টি রক্তদান কর্মসূচি বাতিল করেছে প্রশাসন । এদিকে এমন ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাম পরিষদের নেতা সুজন চক্রবর্তী। চলমান করোনা সংকটে এ নিয়মের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, দেশের সবাই এখন করোনা-যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। এ সময় রাজ্য সরকার স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতার বদলে বাধা দিচ্ছে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে যখন রক্ত সঙ্কট চলছে তখন এমন নিয়ম দেশকে আরও বিপদের দিকেই ঠেকে দেবে বলে মনে করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী । তিনি বলেন, পুলিশ রক্ত দিচ্ছে, নিঃসন্দেহে ভালো প্রচেষ্টা। কিন্তু অন্য কেউ রক্ত দিতে পারবে না - এটা কোনো যুক্তির মধ্যেই পড়ে না। এমন স্বেচ্ছাচারী মনোভাব মেনে নেয়া যায় না।
×