ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লকডাউনে জনমানবশূন্য রাজশাহী মাঠে সতর্ক পুলিশ-সেনা

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৭ এপ্রিল ২০২০

লকডাউনে জনমানবশূন্য রাজশাহী মাঠে সতর্ক পুলিশ-সেনা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজশাহী মহানগরীকে অঘোষিতভাবে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। নগরীর প্রবেশমুখগুলোর আগে অন্তত পাঁচটি করে স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে কেউ ঢুকতে পারছেন না। শহর থেকে বের হতেও পারছেন না। ফলে ঘরে ঘরে মানুষ অবস্থান নিয়েছেন। বাজার-ঘাট সব বন্ধ রয়েছে। পুরো শহর এখন জনমানব শূণ্য হয়ে পড়েছে। লকডাউনের পর নগরীতে প্রবেশ এবং বের হওয়া বন্ধ করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। আর গোটা রাজশাহীতেই জনসমাগম বন্ধ করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে আরও বেশি কড়াকড়ি করা হচ্ছে। ফলে নগরী প্রায় ফাঁকা রয়েছে। এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকর্ত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। মহানগর এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য কোনো মার্কেট, দোকান বা সুপারশপ খোলা রাখা যাবে না। সোমবার সন্ধ্যার দিকেই খোলা থাকা মুদি দোকানগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবারেও বন্ধ রাখা হয়েছে সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরের বাইরে থেকে কোনো যানবাহন বা ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মহানগরে প্রবেশ করতে পারবেন না। একইভাবে মহানগর এলাকা থেকে বের হতেও পারবেন না। এদিকে মহানগরের কোন বাসিন্দা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। অযথা কোন যানবাহনও রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না। তবে জরুরিসেবা, চিকিৎসাসেবা, ভোগ্যপণ্য, কৃষিপণ্য, রপ্তানিপণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন ঘরে থাকার বিকল্প কিছু নেই। পুলিশ-প্রশাসন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। সন্ধ্যার পর ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো দোকান খোলা থাকলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সেনা সদস্যরা। এসময় তারা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ যান চলচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়েছেন। নগরীর মনিচত্ত্বর, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, কুমারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে বাহিরে বের হওয়া প্রায় প্রতিটি মানুষকেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়। আর নগরের প্রবেশ পথগুলোতেও রয়েছে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। অপ্রয়োজনে বাহিরে আসা ব্যক্তিদের বাসায় ফিরিয়ে দেয় সেনা বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে টিসিবির পণ্য নিতে আসা মানুষদেরও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে লাইনে দাঁড় করান তারা। সেনা সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদেরও কড়া তৎপড়তা রয়েছে নগরজুড়ে।
×