ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই’

প্রকাশিত: ১১:৫২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

‘আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের স্থান নেই’

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মাদককারবারিদের স্থান নেই। দয়া করে দলের কোন নেতা এসব ব্যক্তিসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পরিবারের সন্ত্রানদের আওয়ামী লীগে ঠাঁই দিবেন না। আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওয়ান ইলেভেনসহ দলের দুর্দিনে তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দলে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। সোমবার দুপুরে খানজাহান আলী কলেজ মাঠে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত হতে হবে। তার মুক্তির নামে আন্দোলন করে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সরকার কঠোর হাতে তা দমন করবে। এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার নয় উপজেলা, ৭৫ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন, বাদ্যযন্ত্রসহ অভূতপূর্ব উৎসাহ-উদ্দীপনায় মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে যায়। পরে বেলা ১২টায় শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি ডাঃ মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মির্জা আজম, আবু সাঈদ স্বপন, এস এম কামাল, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ। ঝালকাঠি নিজস্ব সংবাদদাতা ঝালকাঠি থেকে জানান, ঝালকাঠির শিশুপার্কে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্র্ষিক কাউন্সিল ৬ হাজার লোকের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ রশিদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টাম-লীর সদস্য জননেতা আলহাজ আমির হোসেন আমু এমপি প্রধান অতিথি ছিলেন। উদ্বোধক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সরদার মোঃ শাহ আলম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ও সালেহ উদ্দিন আহম্মেদ সালেক। পৌর মেয়র আলহাজ লিয়াকত আলী তালুকদার। অন্যদের মধ্যে সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির। দ্বিতীয় অধিবেশনে আঃ রশিদ হাওলাদারকে পুনর্বার সভাপতি এবং ঝালকাঠি পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহামুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই অনুষ্ঠানের পরই একই মঞ্চে ‘আলোকিত ঝালকাঠি’ নামের একটি পত্রিকার প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন জননেতা আলহাজ আমির হোসেন আমু এমপি। নাটোর নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর থেকে জানান, নাটোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির শ্বেত কপোত ও সম্মেলনের ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল। নাটোর নবাব সিরাজ-উদ- দৌলা সরকারী কলেজ মিলনায়তনে শুরু হওয়া সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আনুয়ার হোসেন আনু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জহুরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। নাটোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রতœা আহমেদ, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার প্রমুখ। খুলনায় সম্মেলন আজ স্টাফ রিপোর্টার খুলনা অফিস থেকে জানান, আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ মঙ্গলবার। সম্মেলনকে সামনে রেখে খুলনায় বইছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহের আমেজ। সম্মেলন সফল করতে প্রতিদিনই জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা, বিশেষ প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় সম্মেলন উপলক্ষে জেলা ও মহানগর শাখার নির্বাহী কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ পদে কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকায় নেতাদের মধ্যে তেমন কোন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নেই। তারপরও উৎসবের কোন কমতি নেই সম্মেলনকে ঘিরে। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদ সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
×