ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজির টাকা বিদেশে পাচার করছিলেন কাউন্সিলর মঞ্জু

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৩১ অক্টোবর ২০১৯

 চাঁদাবাজির টাকা বিদেশে পাচার করছিলেন কাউন্সিলর মঞ্জু

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ও শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে আটক করা হয়েছে। চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ তিনি আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কাছে পাচার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর টিকাটুলিতে মঞ্জুর কার্যালয়ে অভিযান শেষে এসব কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ও শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে টিকাটুলির নিজ কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে আটক করা হয়েছে। মঞ্জু বুধবার (৩০ অক্টোবর) দিনগত রাতে ওয়ারী থানায় দায়ের করা এক চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ময়নুল হক মঞ্জুকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে র্যাবের সদস্যরা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও দু’টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলাতেই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজি ও সন্ত্রাসবাদীর অভিযোগ রয়েছে। অভিযানে তার কার্যালয় থেকে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে বিকেলে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি। র্যাব-৩ এর এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ রয়েছে, কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং সেসব অর্থ আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কাছে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। কী পরিমান অর্থ তিনি পাচার করেছেন এটি আইনিভাবে তদন্তের বিষয়। কাউন্সিলর মঞ্জু নিজেও একজন মাদকসেবী ছিলেন। চাঁদাবাজি-দখলবাজি ও সন্ত্রাসবাদী ছিলো কাউন্সিলর মঞ্জুর আয়ের উৎস বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্বত্ত্বেও এতোদিন তাকে কেন আটক করা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে আটক করলেই হবে না, তার বিরুদ্ধে যথাযথ স্বাক্ষীর বিষয় রয়েছে। রাজধানী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কাউন্সিলর মঞ্জুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাকে আটকের এটাই যথোপযুক্ত সময়। কার্যালয়ে অভিযান শেষে গোপীবাগে মঞ্জুর বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাব-৩ সদস্যরা। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান লে. কনেল শাফী উল্লাহ বুলবুল।
×