ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন সোমবার

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন সোমবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে আগামীকাল সোমবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ অনুষ্ঠিত হচ্ছে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস। এজন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী প্রেরণসহ নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকছে সেনাসদস্য। জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌরসভার মোট ১৪০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টিকেই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্য ২২টি রয়েছে সাধারণ হিসেবে। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন ভোট অনুষ্ঠানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ৪ জন, সাধারণ কেন্দ্রে ৩ জন ও ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রায় ১ হাজার পুলিশ সদস্য, ৩ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ৬টি র‌্যাবের টিম এবং প্রতি কেন্দ্রে ১২জন করে মোট ১৬৮০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনের মাঠে তৎপর থাকবে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পৃথক পৃথক টিম। এছাড়া প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে সেনাসদস্যসহ একজন মেজরের নেতৃত্বে আরও একাধিক টিম ইভিএমের কারিগরি সহায়তাসহ সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১টি করে অতিরিক্ত ইভিএম থাকবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের অধীনে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও মাঠ তদারকিতে থাকবেন। এদিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আজ রবিবার সকাল থেকে ইভিএম মেশিন, ল্যাপটপ, মনিটরসহ নির্বাচনী সামগ্রী প্রিজাইডিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছানো শুরু হয়েছে। সকালে পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, বিজিবি কমকর্তা ও আনসার কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক এক ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের সভাপতিত্বে ওই ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিয়া। এ ব্যাপারে জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘœ ভোট অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মোতায়েনসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের বাইরে সেনাসদস্যরা ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় কাজ করবে। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৮২ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৬০৫ জন। মোট ১৪০ ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষ সংখ্যা ৯৫৩ টি।
×