নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৯ অক্টোবর ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর দু’দিন পর্যন্ত লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম অবশেষে কুষ্টিয়ায় ছুটে আসেন। বুধবার বিকেলে তিনি কুষ্টিয়ায় এসে ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। তবে বুয়েট ভিসি রায়ডাঙ্গা গ্রামে ফাহাদের বড়িতে প্রবেশকালে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েন।
বুধবার বিকেল ৫টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে ফাহাদের বাড়িতে পৌঁছান বুয়েট ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় ফাহাদের দাদা আবুল কাশেম বিশ^াস ভিসিকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে ভিসি ড. সাইফুল ইসলাম আবরারের পিতা বরকত উল্লাহ, দাদা আবুল কাশেম বিশ^াস, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণসহ বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নিহত আবারারের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে নিহত ফাহাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভিসি উত্তর দিতে থাকেন। তবে ভিসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় উপস্থিত কয়েক শ’ গ্রামবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় প্রশ্নবাণে জর্জরিত ভিসি বিপাকে পড়েন। আবরারের লাশ দেখতে না আসা, ঢাকায় আবরারের প্রথম দফা জানাজায় ভিসির অনুপস্থিতি, হত্যাকা-ের পর আবরারের পরিবারকে বুয়েট প্রশাসনের অসহযোগিতাসহ নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। হত্যাকারীদের ফাঁসি ছাড়াও ভিসির পদত্যাগের দাবিতেও গ্রামবাসীরা স্লোগান দিতে থাকে। পরে সমবেদনা জানাতে ভিসি ফাহাদের বাড়িতে দ্বিতীয়বার প্রবেশের সময়ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধ ও বাধার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ফাহাদের বাড়িতে আর প্রবেশ না করেই ভিসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া প্রহরায় রায়ডাঙ্গা গ্রাম ত্যাগ করেন। পরে তিনি দ্রুত কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন জানান, বুয়েটের ভিসি ড. সাইফুল ইসলাম নিহত ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।