দুটি মামলায় তারেককে ১৭ বছরের কারাদন্ড ॥ আইনমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে দুটি মামলার রায় হয়েছে। একটি মামলায় ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর মামলায় ১০ বছর মিলিয়ে মোট ১৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি জানান, ক্যান্টনমেন্ট থাকায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেয়। উক্ত খালাস আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করা হয়। আপীলের রায়ে আসামী তারেক রহমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগর দায়রা কোর্টে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মন্ত্রী জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তারেক রহমানকে জরিমানার টাকা অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে আনুপাতিক হারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম চলছে। আইনমন্ত্রী জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০০৭ সালে কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. যোবায়দা রহমান ও শাশুড়ী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু আসামী হিসেবে অভিযুক্ত হন। উক্ত মামলার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ডা. যোবায়দা রহমান হাইকোর্ট বিভাগে দরখাস্ত করেন। হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত দরখাস্ত খারিজ করে দেন। উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে করা মিস পিটিশনটি এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারা বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০টি। সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল সৃজনের মঞ্জুরী প্রদান করেছে এবং উক্ত ট্রাইব্যুনালসমূহের জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃজন করা হয়েছে। নবসৃজিত এ পদগুলোতে আমরা অতি দ্রুত নিয়োগ প্রদান করছি যাতে করে এই মামলাগুলো আরো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।