ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ০১:০৮, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

গাজীপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিককে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায়ে একই সঙ্গে দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহ সদরের সনাতনপুর মধ্যপাড়া এলাকার আঃ বারেজ বিশ্বাসের ছেলে মান্নান হোসাইন (৪০) ও সিরাজগঞ্জের একডালা গ্রামের মোজাহার আলী মাষ্টারের মেয়ে নাজমা বেগম (৩১)। গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহমেও আদালতের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জের একডালা গ্রামের আব্দুল হান্নান একই এলাকার নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। হান্নান চাকরির সুবাদে টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার জনৈক মোসলেম উদ্দিন বেপারীর দুতলা বাসায় ভাড়া থাকতেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মান্নান হোসাইন একই বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকতো। একই বাসায় বসবাস করার সুবাদে হান্নানের স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে সাবলেট ভাড়াটিয়া মান্নানের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি হান্নান টেরপেয়ে মান্নান হোসাইনকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে এবংতার স্ত্রীকে সংশোধন হওয়ার জন্য বলে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে মান্নান বাসা না ছেড়ে উল্টো হান্নানকে খুন করার হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি নাজমা বেগম বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে ভাড়া বাসা থেকে চলে যায়। পরে হান্নান ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি রাতে তার ভাড়া বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। ওই রাতেও সাবলেট ভাড়াটিয়া মান্নান হোসাইন ওই বাসায় ছিল। পর দিন সকালে দুই হাত বাধা, নাকেমুখে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের বিছানার উপর হান্নানের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত হান্নানের বড় ভাই আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে নাজমা বেগম ও মান্নানের নামে টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনোয়ার হোসেন তদন্ত শেষে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১১ জুন আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষী গ্রহণ ও শুনানী শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিচারক ওই দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। রাস্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি অ্যাডভেকেট ফরিদা ইয়াসমিন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান (তমিজ) ও আবুল বাশার।
×