অনলাইন ডেস্ক ॥ ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তির জন্য পণ চেয়ে ফোনও এসেছে তাঁর কাছে। এ কথা জানিয়ে স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন পি রবিকুমার। ছেলেকে ফেরাতে স্ত্রীর কাছে গয়নাও চান তিনি।
স্বামীর কথা বিশ্বাস করেছিলেন স্ত্রী। সাধ্য মতো গয়না রবিকুমারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। পরে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ৩২ বছরের রবিকুমার। যদিও এত কিছুর পর শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ফাঁস হয়ে যায়, ঋণশোধ করতে না পেরে নিজের ছেলের মিথ্যে অপহরণের গল্প ফেঁদে ছিলেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, চেন্নাইয়ের পি রবিকুমার একটি ভ্রমণ-সংস্থা চালান। অভিযোগ, তিন বছরের বকেয়া ঋণ পরিশোধ করার জন্য তিনি নিজের তিন বছরের ছেলের মিথ্যে অপহরণের গল্প ফাঁদেন। সেই মতো, স্ত্রীকে ফোন করে জানান, স্কুলে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। অপহরণ করে ছেলেকে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, অপহরণকারীরা তাঁকে টাকা নিয়ে একলা আসতে বলেছে। সেই মতো স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেলেকে ফেরাতে একা যান রবিকুমার। ছেলেকে নিয়ে বাড়িও ফিরে আসেন।
এই পুরো বিষয়টাই পুলিশকে জানিয়েছিলেন রবিকুমারের স্ত্রী। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রবির কার্যকলাপে সন্দেহ হয় তাদের। রবিকুমারকে জেরা করতে পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। জেরায় রবিকুমার স্বীকার করেন ঋণ শোধ করতে না পারার জন্যই এই অপহরণের নাটক ফাঁদেন। ছেলেকে এক বন্ধুর বাড়িতে রেখেছিলেন বলেও তদন্তকারীদের জানান রবি। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: