নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ সোমবার রাজৈর উপজেলার খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে জেএসসি ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে নকল করার দায়ে ৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় নকল সরবরাহের দায়ে বহিরাগত ৩ যুবককে ২বছর করে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে নকল চলছে খবর পেয়ে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা পারভীন ঐ কেন্দ্রে যান এবং ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে মোবাইল থেকে তথ্য আদান-প্রদানকৃত মেসেজ ও ছাত্রদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরীক্ষার কক্ষ থেকে ঐ মেসেজ গ্রহণকারি স্মার্ট ফোনসহ একই বিদ্যালয়ের ৬ ছাত্রকে আটক করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নকল করার দায়ে পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবকে নকলকারি ৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিলে কেন্দ্র সচিব ঐ ৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করেন। এরা হলো হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াছিন মাতুব্বর, আশিক কাজী, রাকিব খালাসী, খলিল হাওলাদার, সন্দীপ ও তানজিম মুন্সী। এ সময় নকল সরবরাহকারি বহিরাগত ৩ যুবককে ভ্রাম্যমান আদালত ২বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বহিরাগত তিন যুবক হলো রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ছমেদ মাতুব্বরের ছেলে বেলয়েত হোসেন, হাসান শেখের ছেলে ওবায়দুর রহমান ও নান্নু হাওলাদারের ছেলে সাগর হাওলাদার।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা পারভীন বলেন, ‘খালিয়া রাজারাম ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে ছাত্ররা নকল করছে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে যাই। সেখানে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে মোবাইল থেকে তথ্য আদান-প্রদানকৃত মেসেজ চেক করা হয়। নকল করার সাথে জড়িত ৬ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয় এবং নকল প্রদানকারি ৩ যুবককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
