ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

নওগাঁয় বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর সাপাহারে সন্ধানী লাইফ ইনসুরেন্স লিমিটেড নামে একটি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে গ্রাহদের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও বীমার টাকা ফেরত দাবীতে রবিবার সাপাহার উপজেলা পরিষদের সামনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, বীমা কোম্পানিটি সাপাহারে প্রায় ১৫ বছর আগে কার্যক্রম শুরু করে। অধিক মুনাফা পাওয়ার আশায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা ওই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মেয়াদে বীমার হিসাব খোলেন। প্রতি মাসে ডিপিএসের টাকা জমা দেয়ার পর নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে গ্রাহকরা সুদ সহ তাঁদের আমানতের টাকা চাইতে গেলে সন্ধ্যানী লাইফ ইনসুরেন্সের সাপাহার শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বিভিন্নভাবে টালবাহানা করতে শুরু করে। অনেক গ্রাহককে আমানতের টাকা দেয়ার কথা বলে তাঁদের কাছ থেকে ডিপিএসের মূল বই ও টাকা জমা দেযার রশিদ পর্যন্ত জমা নেন। তাঁর দেয়া কথামতো ওই সমস্ত গ্রাহকরা টাকা চাইতে গেলে তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে গত পাঁচ-ছয় মাস থেকে সাপাহারে ওই কোম্পানির সাপাহার শাখার কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়। ওই কোম্পানির প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক বীমার টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁদের আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য প্রশাসনকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে সন্ধ্যানী লাইফ ইনস্যুরেন্সের নওগাঁ জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক সাবিবর আহমেদ বলেন, ‘সাপাহারে তাঁদের কোম্পানির কার্যক্রম ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। যে সমস্ত গ্রাহক সর্বনিন্ম দুই বছর ধরে ডিপিএসের টাকা জমা দিয়েছেন তাঁরা শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত পাবেন। ডিপিএসের বই ও টাকা জমা দানের রশিদ নিয়ে আমার অফিসে এলে তাঁদের টাকা অবশ্যই দেয়া হবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডিপিএসের বই ও টাকা জমা দানের রশিদ জমা যাঁরা ইতোমধ্যে সাপাহার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মনিরুলের কাছে জমা দিয়েছেন, এর দায়িত্ব আমরা নেব না। আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি। সাপাহার থানার অফিসার ইরচার্জ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রাহক থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×