ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি মানব না, রাজনীতি ছেড়ে আলুর দোকান ছাত্রনেতার

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৯ মার্চ ২০১৭

দুর্নীতি মানব না, রাজনীতি ছেড়ে আলুর দোকান ছাত্রনেতার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ঝাড়খণ্ডের রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি করেন এক সময়ের দাপুটে নেতা। রাজনীতিতে ফের যোগ দেওয়ার প্রশ্নে একগাল হেসে জবাব দেন— ‘‘আলু বেচে দিনে ১০০ টাকা উপার্জন করলেও শান্তি। দুর্নীতির ছোঁয়া নেই সেই টাকায়।’’ তিনি বিনোদ ভগৎ। ঝাড়খণ্ডে কয়েক দশক আগেও তাঁর জনসভায় হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাতেন। তাঁর ডাকা বনধে স্তব্ধ হতো গোটা রাজ্য। রাজ্যের অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠন ‘ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’-এর (আজসু) প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন বিনোদ। পৃথক রাজ্যের আন্দোলনে তিনিও ছিলেন পুরোধা। রাঁচীর মোরাবাদি ময়দানের লাগোয়া বাজারে আলুর দোকানে তাঁর ছবি দেখে তা-ই প্রথমে চিনতে পারেননি পুরনো দিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। অবাক তাঁর বন্ধু তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরাণ্ডিও। এক সময় তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপিতেও যোগ দিয়েছিলেন বিনোদ। কয়েক দিনের জন্য ছিলেন জেএমএমেও। পরে অবশ্য রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান। কেন ছাড়লেন রাজনীতির পথ? একরাশ ক্ষোভই যেন শোনা গেল বিনোদবাবুর কথায়, ‘‘নেতা-মন্ত্রীরা গাড়ি হাঁকিয়ে ঘুরছেন। প্রান্তিক, গরিব আদিবাসীরা যেমন আগে ছিলেন, তেমনই রয়ে গেলেন। চারপাশে দুর্নীতি। এমন রাজ্যের স্বপ্ন তো আমি দেখিনি।’’ তবে তিনি যে বদলাননি তা জানাতে ভোলেন না। বিনোদ বলেন, ‘‘যে গরিব মানুষগুলোর জন্য যৌবনে আন্দোলন করেছি, এখনও তাঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করি। সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিতে চাই। কুর্সিতে বসলে হয়তো এ সব করতে পারতাম না।’’ কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকেই তিনি বলেন, ‘‘রাজনীতির কথা বেশি বলতে চাই না।’’ মোরাবাদিতে আলু বেচছেন বিনোদ— সেই খবর পেয়েই কয়েক দিন আগে ওই দোকানে গিয়েছিলেন বাবুলাল মরাণ্ডি। কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের। ফের কি ফিরছেন পুরনো জগতে? ‘‘আমি এতেই খুশি’’— একটুও না ভেবে জবাব দেন বিনোদবাবু। ততক্ষণে ক্রেতার ভিড় জমেছে একচিলতে ওই দোকানে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×