ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ জব্বারের নির্দেশে ৩০ জনকে গুলিতে হত্যা করে রাজাকাররা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১০ নভেম্বর ২০১৪

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ জব্বারের নির্দেশে ৩০ জনকে গুলিতে হত্যা করে রাজাকাররা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২০ তম সাক্ষী বাচ্চু আকন জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে তিনি বলেছেন, জব্বারের নির্দেশে রাজাকাররা সূর্যমণি ওয়াপদা রাস্তার পাশে বেড়িবাঁধের ওপর গুলি করে ৩০ জনকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনা বেড়িবাঁধের অপরপাশ থেকে প্রত্যক্ষ করি। জবানবন্দী শেষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক অব্যাহত। আজ আবার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১ ও ২ এ আদেশ প্রদান করেছে। অন্যদিকে তদন্ত সংস্থা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি (৬২) ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের (৬৪) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য অব্যাহত রয়েছে। আজ আবার ২১ তম সাক্ষীর জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম বাচ্চু আকন। বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬২ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম-ফুলঝুড়ি, থানা-মঠবাড়িয়া, জেলা-পিরোজপুর। ১৯৭১ সালে আমার আনুমানিক বয়স ছিল ১৮ বছর। তখন আমি ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে আমি ব্যবসা করি এবং দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মঠবাড়িয়া উপজেলা কমান্ডের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছি। আব্দুস সুবহান ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক অব্যাহত। আজ আবার প্রসিকিউশন চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুরু করবে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। রবিবার তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা বেগম চমন। ৫ নবেম্বর থেকে প্রসিকিউশন পক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। ননি ও তাহের ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় দাখিল করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজাহান কবীর প্রসিকিউশন শাখায় এসে এ প্রতিবেদন জমা দেন। ৫ নবেম্বর গ্রেফতারকৃত দুই রাজাকার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। ঐ দিন মোঃ ওবায়দুল হক ওরফে তাহের, আতাউর রহমান ওরফে ননীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মোট ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এম এম হান্নান খান বলেন, এই মামলার তদন্ত করতে সময় লেগেছে ১ বছর ৪ মাস ২৮ দিন। ২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
×