ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসীদের আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান

প্রকাশিত: ২০:২৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

প্রবাসীদের আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান

বুধবার দুপুরে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিমানের কানেক্টিং ফ্লাইটে আসা প্রবাসী যাত্রীদের ঢাকায় আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান। কেবল সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেওয়া হবে। বুধবার (২৭ মার্চ) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানির সময় এ তথ্য জানানো হয়।

বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমেদের সভাপতিত্বে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের সেমিনার হলে শুনানিতে বিমানবন্দরে সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও বিমানের যাত্রীরা অংশ নেন।

শুনানিতে মিজান মিয়া নামের এক সৌদিপ্রবাসী যাত্রী অভিযোগ করেন, প্রবাস থেকে দেশে ফেরার পথে সিলেটে পৌঁছে জানতে পারেন তাদের লাগেজ আসেনি। এ নিয়ে তাদেরকে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়; যা একেবারে কাম্য নয়। তিনি এ ধরনের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।

জবাবে পরিবহন সংস্থার প্রতিনিধিরা জানান, ‘ঢাকা থেকে কানেক্টিং ফ্লাইটের উড়োজাহাজ আকারে ছোট থাকায় যাত্রীদের সব লাগেজ একসঙ্গে পরিবহন করা সম্ভব হয় না। এ কারণে কিছু যাত্রীর লাগেজ পরবর্তী ফ্লাইটে পৌঁছায়। সিলেটে পৌঁছালে যাত্রীদেরকে ক্ষুদে বার্তায় কিংবা টেলিফোনে লাগেজ সংগ্রহ করতে বলা হয়।  যেসব যাত্রী সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা তারা চাইলে লাগেজ তাদের বাসায় পৌঁছে দিবে বিমান।

যাত্রীদের অভিযোগ বিষয়ে বিমানবন্দরের পরিচালক এয়ারলাইন্সগুলোর উদ্দেশে বলেন, যাদের লাগেজ একই বিমানে সিলেটে পৌঁছাবে না তাদেরকে ঢাকা থেকে বিমান ছাড়ার আগেই সুনির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিতে হবে। এতে যাত্রীরা সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছে অপেক্ষা করবে না বা খুঁজতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়বে না। 

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

গণশুনানিতে উপস্থিত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রী, সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী ইয়াহইয়া খালেদ ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেবার ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন।

বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বলেন, প্রতি তিন মাস পর পর গণশুনানি আয়োজন করা হয়। এতে উত্থাপিত অভিযোগ ও প্রস্তাব গুরুত্বসহকারে দেখা হয় এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

শুনানিতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) উপপরিচালক মো. আব্দুল গনি, স্কোয়াড্রন লিডার মো. কামরুল আহসান, ওসমানী বিমানবন্দরের সিকিউরিটি অফিসার রিয়াজ আহমেদ, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ওসি মো. আব্দুল কুদ্দুস, কাস্টমস এর রেভিনিউ অফিসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বিমানবন্দরের সিনিয়র অফিসার মো. আহসান হাবিবসহ ইমিগ্রেশন পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাংক, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি, গোয়েন্দা শাখা ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এসআর

×