ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়া

বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে ॥ শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে ॥ শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে

বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ওষুধসহ ফিলিস্তিনিদের জন্য জরুরি সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাতে গণভবনে মুসলিম দেশগুলোর  জোট ওআইসিভুক্ত ১৪  দেশের রাষ্ট্রদূত  সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বাংলাদেশের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। 
বৈঠক  শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন,  কোন পথে ওষুধ পাঠানো হবে এখনো সেটা ক্লিয়ার না, তবে আমরা পাঠাব। এ ছাড়া আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া পড়ানো হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। হাসপাতালের ওপর  হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। 
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে যে হামলা হয়েছে, সেখানে বহু শিশু এবং নারী মারা গেছেন। সে সম্পর্কে ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা  তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে সমর্থন আছে, সেই সমর্থন যাতে অব্যাহত থাকে এবং অন্যান্য  যে আন্তর্জাতিক সমর্থনগুলো আছে সেগুলোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে সচিব বলেন, শীঘ্রই  একটি শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।  মন্ত্রিসভার মাধ্যমে সেটি জানানো হবে। এ ছাড়া   প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনির সমস্যার মূল কারণগুলো বের করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সমাধানের পথ খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য গড়ার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। 
পররাষ্ট্র সচিব জানান, ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও  বলেন, আমরা গাজার হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ  দেখেছি। যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।
ওই  বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান,  সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা, আলজিরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলি মাহদি সাঈদ আল-কাহতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালিব সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস  সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান। এ ছাড়া আরও অংশ  নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহামাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফাতিহা আল বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান ইফেন্দি এবং মিসরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি।

×