ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যানজট ২ ॥ ডিজিটাল সিগন্যালিং কমাতে পারে দুর্ভোগ

ক্যান্টনমেন্টে যান চলে নিয়ম মেনে, বাইরে ভিন্ন চিত্র

ফজলুর রহমান

প্রকাশিত: ২৩:২৬, ২ আগস্ট ২০২৩

ক্যান্টনমেন্টে যান চলে নিয়ম মেনে, বাইরে ভিন্ন চিত্র

পাবলিক বাসগুলো নির্দিষ্ট রুট দিয়ে একটি গতিতে চলছে

পাবলিক বাসগুলো নির্দিষ্ট রুট দিয়ে একটি গতিতে চলছে। প্রতিটি বাস নির্ধারিত স্টপেজে দাঁড় করানো হচ্ছে। যাত্রী ওঠা-নামার পর আবার নির্বিঘেœ চলাচল করছে। মোটরসাইকেল চালকও আইন মেনে নির্র্ধারিত গতিতে বাইক চালাচ্ছেন। ভুলেও কোনো চালক ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করছেন না। অযান্ত্রিক যানগুলোও চলছে নিয়ম মেনে। আড়াআড়িভাবে পরিবহন দাঁড় করিয়ে রেখে একাধিক পরিবহনের জটলা ও যানজটের সৃষ্টি করা হচ্ছে না। তাই চালককে চাপতে হচ্ছে না হর্নের বাটন। সেখানকার পথচারীরা নিয়ম মেনে ফুটপাত ধরেই হাঁটছেন। কেউ রাস্তা পার হতে চাইলে জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করছেন। এই সুশৃঙ্খল নিয়ম ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে। সেখানকার পথচারী, যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক গাড়ির জন্য যেই ব্যবস্থা রয়েছে, সে নিয়ম মেনেই চলাচল করছে সকলে। 
আর ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে বের হলেই দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। গাড়ি থামানোর নির্দিষ্ট কোনো স্টপেজ নেই, ২/১টা জায়গায় থাকলেও সেখানে গাড়ি দাঁড় করাচ্ছেন না চালকরা। আড়াআড়িভাবে একটি গাড়ি রাখার কারণে পেছনে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। যতক্ষণ পর্যন্ত চালক নিজ থেকে গাড়িটি সোজাসুজি না করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পেছনে থাকা অন্যদের কিছুই করার থাকে না। গাড়িটি কেন আড়াআড়িভাবে রেখে যানজটের সৃষ্টি করা হলো, তা দেখার জন্য পুলিশ থাকলেও তারা তা মনিটরিং করছেন না।

সিগন্যাল পয়েন্টগুলো ক্লিয়ার রাখা অত্যন্ত জরুরি হলেও সেখানে রিক্সা, বাইকারদের জটলা বেধেই থাকে। ট্রাফিক পুলিশ এসব সরিয়ে সিগন্যাল পয়েন্ট ক্লিয়ার রাখার দায়িত্ব নেন না। মূল সড়কে গাড়ি পার্কিং করে রাখায়, ফুটপাত দখলে থাকায় পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে হাঁটার কারণে, একই সময়ে একই রুটে ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, ঘোড়ার গাড়িসহ যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক যান চলাচলের কারণে শুধু ক্যান্টনমেন্ট বাদ দিলে পুরো রাজধানীর সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার অবস্থা হ-য-ব-র-ল। কিন্তু কেন?
কেন একই শহরের মধ্যে সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থার এতটা পার্থক্য। ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সুশৃঙ্খলভাবে পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষ সেটি নিশ্চিত করতে পারলে বাইরের অংশে কেন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পারছে না। এমন বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সেনাবাহিনী নিজেরাই ট্রাফিক সিস্টেম করেছেন। কোনো থার্ড পার্টি দিয়ে সেটি করা হয়নি। তাদের আওতাধীন রাস্তায় ট্রাফিক অপারেট করছেন তারা, সেখানকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থাও নিচ্ছে সেনাবাহিনী। সেখানে পথচারী, যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে, যা সবাই মেনে চলে কিংবা মানতে বাধ্য।

আর ক্যান্টনমেন্টের বাইরে এই ব্যবস্থা থাকলেও সেটি কেউ মানছে না, না মানলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। পুলিশ মনগড়া সিগন্যাল অপারেট করছে, যানজট নিরসনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় গাড়ি আটকানো এবং মামলা দেওয়া নিয়ে। মূলত ঢাকার রাস্তা সিটি করপোরেশনের, গাড়ি ও গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিদ্যমান আইন বিআরটিএ’র। আর সেই আইন প্রয়োগ করছে পুলিশ। আবার সেই আইনের প্রয়োগ করতে তাদের অতি উৎসাহী ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। অথচ নিজেদের অনেক আইন রয়েছে, তা প্রয়োগে তারা একেবারেই উদাসীন। 
মূল সমস্যাটা এখানেই। রাজধানীর পরিবহন নিয়ন্ত্রণে এবং যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে আটটি বিভাগে উন্নীত করেও কোনো সুফল হয়নি। 
ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সুশৃঙ্খলভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ফলে যানজট নিরসন করা সম্ভব হলে বাইরে কেন পুলিশ পারছে না, এমনটি জানতে চাওয়া হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের কাছে। উত্তরে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ক্যান্টমেন্টের ভেতরে গাড়ির সংখ্যা কম। সেখানকার ফুটপাতে কোনো হকার বসেন না, পথচারীরা ফুটপাত ধরেই হাঁটেন। আর ক্যান্টনমেন্টের বাইরে গাড়ির সংখ্যা বেশি এবং বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করে। ভিআইপি মুভমেন্ট থাকে। পথচারী ফুটপাত ধরে হাঁটতে পারেন না, ফলে মূল সড়ক ধরেই হাঁটেন। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট অবরোধ করে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনগুলো মানববন্ধন করে, সড়ক অবরোধ করে রাখে। যা পাশের সড়কগুলোতে প্রভাব ফেলে, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। অযান্ত্রিক গাড়ির কারণে যান্ত্রিক গাড়ি দ্রুতগতিতে চলতে পারে না। 
যানজটের প্রধান উৎস সিগন্যাল পয়েন্ট ॥ রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় পর্যাপ্ত সড়ক থাকা সত্ত্বেও সিগন্যাল পয়েন্টে গাড়ি জড়ো হয়। যদি প্রতি এক মিনিট সিগন্যালের কারণে ৫০টি গাড়ি জড়ো হয়, তবে মোট রাজধানীতে যদি ২০০টি সিগন্যাল পয়েন্ট থাকে তা হলে ১০ হাজার গাড়ি ওই এক মিনিটেই জড়ো হয়। এভাবে কন্ট্রোল করতে করতে এক পর্যায়ে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সিগন্যাল ছাড়ার পর জড়ো হওয়া গাড়িগুলো একইসঙ্গে পার্কিংয়ের প্রয়োজন পড়ে, ফলে নিরুপায় হয়ে চালকগণ মাঝরাস্তাতেই যাত্রী নামানোর চেষ্টা করেন।

এতে পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়, আর এর জন্য পরবর্তী চালককে দায়ী করা হয়। অথচ যে পরিমাণ যানজট তারচেয়ে বেশি পরিমাণ সড়কই ওই সময় অব্যবহৃত থাকে। সঠিকভাবে ব্যবহার হলে এত গাড়ির যানজট থাকত না। প্রতিটি দুই/তিন মিনিট সিগন্যাল মানেই শত শত গাড়ির যানজট। যেখানে প্রতি মিনিটে অন্তত গাড়িগুলো এক কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারত, সেখানে সব গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সিগন্যালে। আবার অনেক সড়কই সিগন্যালের কারণে খালি পড়ে থাকে। 
বিভিন্ন দেশ যেভাবে যানজট নিরসন করেছে ॥ ঢাকায় যতটুকু সড়কপথ আছে, তাতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানাবিধ পদক্ষেপ নিলে যানজট ৮০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। বিশ্বের বড় বড় শহর, এমনকি হজের সময় মক্কা, মদিনা, অলিম্পিক গেমসহ নানা বড় আসরের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সে সময় কত সহজেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।
চীনে যখন অলিম্পিকের মতো বড় আসর হয়েছে, তখন তারা একদিন পর পর জোড়-বেজোড় নম্বরের প্রাইভেট গাড়িগুলো চলাচল করার অনুমতি দিয়ে নতুন কৌশল বের করেছিল। একদিন জোড় সংখ্যার গাড়িগুলো রাস্তায় চলার অনুমতি দিয়েছে তো পরদিন দিয়েছে বেজোড় সংখ্যার গাড়িগুলো। বিশেষ মুহূর্তগুলোতে বাইরের শহরের গাড়িগুলো শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে পত্রিকায় ঘোষণা দেওয়া হয়, ফলে দুর্ভোগ হয় না; হয় না যানজটও। ঢাকার রাস্তায়ও এই সিস্টেম করা হবে বলে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র জানিয়েছিলেন। কিন্তু এটি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।  
ফিলিপিন্সে একসময় তীব্র যানজট ছিল। সেখানে স্বাভাবিক চলাচল ছিল কষ্টসাধ্য। সেখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থা এখন বেশ নিয়ন্ত্রিত। একটি আইন তৈরি হয়েছে ফিলিপিন্সে। এই আইন অনুসারে সেখানে কোনো গাড়ির লাইসেন্স প্লেটের অক্ষরটা যদি ১ অথবা ২ দিয়ে শেষ হয়, তবে সেই গাড়িটি রাস্তায় সোমবারে থাকার অনুমতি পাবে না। আবার যদি সেটা ৩ বা ৪ দিয়ে শেষ হয়, তা হলে মঙ্গলবার গাড়িটাকে থাকতে হবে ঘরেই। ৫ ও ৬ যাদের গাড়ির লাইসেন্স প্লেটের শেষ অক্ষর, তারা তাদের গাড়ি নিয়ে বেরোবেন না বুধবার। বৃহস্পতিবারে রাস্তায় থাকবে না সেসব গাড়ি- যেগুলোর লাইসেন্স প্লেটের শেষে রয়েছে ৭ ও ৮। আর ৯ ও ০ যাদের গাড়ির লাইসেন্স প্লেটের শেষ নম্বর, তারা বের হবে না শুক্রবারে। 

পাশের দেশ ভারতের কলকাতায় তীব্র যানজট লেগেই থাকত। ডিজিটাল সিগন্যাল বাতি, শৃঙ্খলা আর আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে বর্তমানে কলকাতায় যানজট সমস্যা অনেকাংশ নিরসন হয়েছে। কলকাতা নিউমার্কেট থেকে অনেকটা দূরের সড়ক দিয়ে চলছে পাবলিক বাস। যাত্রীরা সেখানে নেমে পায়ে হেঁটে কিংবা মানব চালিত রিক্সা, ট্যাক্সি দিয়ে মার্কেটে যাচ্ছেন। অথচ ঢাকায় যে কয়টি মার্কেট গড়ে উঠেছে সব কয়টি মার্কেট ঘেঁষে চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাস। আর মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা, যাত্রী আর পরিবহন মিলে একাকার হয়ে থাকে মার্কেট কেন্দ্রীক এলাকা। কলকাতায় প্রতিটি চওড়া মূল সড়কের সঙ্গে কিছুটা সরু রাস্তাও রয়েছে। কেউ চাইলে পাবলিক বাসযোগে যাতায়াত না করেও সরু রাস্তার রিক্সা, ট্যাক্সি ধরে গন্তব্যে যেতে পারেন। তা ছাড়া ঢাকা শহরে যে পরিমাণ রিক্সা রয়েছে, কলকাতার মতো জনবহুল শহরেও ঢাকার তুলনায় এক ভাগও রিক্সা নেই। 
লন্ডনসহ আরও অনেক শহরে অফিসের সময় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কেটে নেয়। যা ওই ব্যক্তির দৈনিক আয়ের প্রায় কাছাকাছি। এ কারণে সেখানকার বিত্তশালীদের ব্যক্তিগত গাড়ি থাকলেও তারা দিনের বেলায় বের করেন না। দিনের বেলায় পাবলিক বাস কিংবা অফিসের গাড়িযোগেই অফিসে যান। কেবল রাতে কিংবা সরকারি বন্ধের দিন ব্যক্তিগত গাড়ি বের করা হয়। 
ঢাকার যানজটের এই অবস্থা বদলানোর উপায় কী, এমনটি জানতে চাওয়া হয় পরিবহন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হকের কাছে। তিনি প্রথমেই ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে ট্রাফিক সিস্টেমের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে সেনাবাহিনী নিজেরাই ট্রাফিক সিস্টেম করেছেন। তাদের আওতাধীন রাস্তায় ২৫ বছর ধরে তারাই ট্রাফিক অপারেট করছেন, সেখানকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থাও নিচ্ছে সেনাবাহিনী। যাদের জন্য ফুটপাত বানানো হয়েছে, তারাই ফুটপাত ব্যবহার করছে।

প্রত্যেক বাসের জন্য নির্দিষ্ট স্টপেজ আছে। রিক্সা রিক্সার জায়গা দিয়ে চলে। গাড়ির পরিমাণ সীমিত। সেখানে পথচারী, যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যান্টনমেন্টের মতো বাইরেও পথচারীকে ফুটপাত ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে হবে, যান্ত্রিক এবং অযান্ত্রিক গাড়ি চলাচলে নিয়ম থাকতে হবে এবং সেটি মানতে হবে। সোজাসাপ্টা কথা, এ রকম সিস্টেমের মধ্যে না আনলে কোনো প্রযুক্তি কিংবা বিজ্ঞানও কাজ করবে না। 
যানজটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসা সময়ের দাবি। সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে, যাতে জনগণ এ দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়। এ সমস্যার সমাধানকল্পে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর সমাধান এবং কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়ন হলে যানজটের সমস্যা থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পেতে পারেন। এক্ষেত্রে যেসব দেশের বিভিন্ন শহরে আগে যানজট ছিল, এখন নিয়ন্ত্রিত যানজট; সেসব দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে যানজট নিরসনে পরামর্শ নেয়া। যানজট সমস্যা নিরসনে দেশি-বিদেশি সদস্যের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করা।

রাজধানীর শহরতলির যানজট নিরসনে যাদের ভূমিকা রয়েছে, তাদের ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে কাজে লাগানো, ঢাকায় প্রাইভেটকারের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে ফুটপাথ ও অন্যান্য রাস্তা দখলমুক্ত করা, লেভেল ক্রসিংগুলোয় ওভারব্রিজ তৈরি করা, চালককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্ক না করা ও গাড়ি ঘোরানো থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা, রাজধানীতে সৎ-পরিশ্রমী এবং সাহসী ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া এবং যানজট নিরসনে সরকার আরও বেশি মনোযোগী হলে যানজটের সমস্যা থেকে ঢাকাবাসীর মুক্তি মিলবে।

×