ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর সন্ধান

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৪ জুন ২০২০

সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর সন্ধান

বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাস শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে ঘিরে থাকা দক্ষিণ মহাসাগরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বাতাস সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন। প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে ওই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে এ্যান্টার্কটিকার সেই অঞ্চলটিকে ‘সত্যিকার অর্থে আদিম’ বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। বায়ু দূষণ বিশ্বব্যাপী একটি জনস্বাস্থ্য সঙ্কট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে এ কারণে ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, বায়ুদূষণে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশ্বের নগর এলাকায় বসবাসরত ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ বায়ুদূষণের এমন মাত্রার মধ্যে বসবাস করছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া মাত্রাকে অতিক্রম করে গেছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলো আবার পৃথিবীর এক অঞ্চলকে অন্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণ ভৌগলিক সীমানা পার হতে পারে সহজে। দূষণের উৎসস্থল থেকে শত শত মাইল দূরের মানুষকেও আক্রান্ত করে। এমন অবস্থায় বিশ্বের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের এলাকার সন্ধানে নামে কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। গবেষকরা দেখেছেন, দক্ষিণ মহাসাগরের বায়ুমণ্ডলের একেবারে নিচের স্তরে বিষাক্ত এ্যারোসল কণার অস্তিত্ব নেই। কঠিন ও তরল কণা দ্বারা গঠিত এ্যারোসল বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, সার উৎপাদনসহ মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ এ্যারোসল কণার উৎপত্তি হয়ে থাকে। দক্ষিণ মহাসাগর হলো বিশ্বের গুটিকয়েক এলাকার একটি যা নৃতাত্ত্বিক কারণে একেবারেই কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। -সিএনএন
×