ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় জিয়ার মৃত্যুর পর ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩১ জুলাই ২০১৯

স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় জিয়ার মৃত্যুর পর ॥ তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কটা শুরু হয় মূলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এমন দাবি জিয়াউর রহমান নিজেও জীবদ্দশায় কখনও করেননি। বিএনপি যেভাবে বলে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, আমার মনে হয় কবরের মধ্যে যদি জিয়াউর রহমান এমন মিথ্যাচার শুনতে পেতেন তাহলে লজ্জা কাত হয়ে যেতেন। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির উদ্যোগে ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর : তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্যানেল আলোচকের বক্তব্য এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রছাত্রী এবং তরুণ পেশাজীবীরা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কীভাবে দেখতে চান, সে বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। মঞ্চ থেকে প্যানেল বক্তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের প্রশ্নের জবাব দেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা আর ঘোষণা দেয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, সে ঘোষণা বহুজন পাঠ করেছেন। বেতারের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করেন তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. হান্নান। এরপর ২৭ মার্চ সিদ্ধান্ত হয় সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে পাঠ করানোর, তখন জিয়াউর রহমানকে দিয়ে পাঠ করানো হয়। এছাড়া ২৬ মার্চ নিজের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্নস্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। নূরুল হকের মতো আরও অনেক মানুষ সারাদেশে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তখন।
×