ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

বান্দরবানে আদিবাসী পল্লীর ভূমিতে ফাটল

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২ এপ্রিল ২০১৫

বান্দরবানে আদিবাসী পল্লীর ভূমিতে ফাটল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বান্দরবান, ১ এপ্রিল ॥ বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ক্রাইক্ষ্যংপাড়ার আদিবাসী পল্লীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দেখা দেয়ায় স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ক্রাইক্ষ্যংপাড়ায় আধঘণ্টা ধরে স্থায়ী হয় বৃষ্টি। এ সময় এলাকাটির অর্ধেক কিলোমিটারজুড়ে মাটি ফেটে যায়, এতে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় অনেকে রাতে উক্ত এলাকা ছেড়ে পাশের বিদ্যালয় ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে রাত কাটান। ক্রাইক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা ক্য উ প্রু মার্মা জানান, বৃষ্টি পড়ার পরে চোখের সমানেই মাটি দু’ভাগ হয়ে গেছে, এতে অনেকে ভয় পেয়ে পাশের সরকারী বিদ্যালয়ে রাত কাটায় । ভূ-কম্পন না হলেও বৃষ্টিতে উক্ত এলাকার ভূমিতে লম্বা ফাটল দেখে দেয়ার কারণে ক্রাইক্ষ্যংপাড়া ব্রিকসলিং রাস্তা এবং অনেকের বাড়ির আঙ্গিনা দু’ভাগ হয়ে গেছে। কোন কোন স্থানে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি চওড়া ফাটল থাকলেও বেশ কয়েকটি স্থানে ৩০ ইঞ্চি প্রশস্ত ফাটল ধরেছে। ঘটনার পর থেকে ফাটল দেখতে আশপাশের পাড়ার আদিবাসীরা এখানে এসে ভিড় জামাচ্ছেন। ক্রাইক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা চ হ্লা থুই মার্মা বলেন, আমাদের বাড়ির চারপাশে ফাটল দেখা দিয়ে বাড়ির কোথাও কোথাও গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। বান্দরবান মৃত্তিকা ও প্রাণীসংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বান্দরবানে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মওসুমে এটি কোন ধরনের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত নয়। বান্দরবানের ভূমিতে ফাটল নতুন নয়, ১৯৯৭ সালে জেলার চড়ুইপাড়ায় একটি পাহাড়ের বিশাল অংশ ধসে পড়ে প্রায় ৫০ একর ভূমিতে মিশে যায়, সেখানে সৃষ্টি হয়েছিল বিশাল জলাশয়। ২০১২ সালে খোদ জেলা শহরের ইসলামপুরে বিশাল পাহাড়ের কয়েকটি স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। ওই সময় ঢাকা খনিজ সম্পদ অধিদফতরের একটি বিশেষজ্ঞ দল এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। বান্দরবান মৃত্তিকা ও প্রাণীসংরক্ষণ বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবল আলম জানান, মাটির গঠনগত কারণে শূন্যতা সৃষ্টি হওয়ায় মাটিতে ফাটল দেখা দিতে পারে, এতে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।
×