ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী জরুরী ॥ মৌসুমী

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ১৫ মে ২০১৮

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী জরুরী ॥ মৌসুমী

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে টিকিয়ে রাখা ও তার উন্নয়নে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকাজুটি মৌসুমী-ওমর সানী। তাদের অভিমত, চলচ্চিত্র শুধু সংস্কৃতি কিংবা বিনোদন নয়, একটা জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করে এই চলচ্চিত্র। তাই এই শিল্পের উন্নয়নে শিক্ষিত সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে হবে। তাদের মাধ্যমেই আগামীর চলচ্চিত্র উচ্চ আসনে রূপ নেবে। গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগের অধীনে পরিচালিত অভিনয় কোর্সের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানের অতিথি হয়েছিলেন তারকা দম্পতি মৌসুমী-ওমর সানী। রবিবার রাজধানীর গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম, টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগের অধীনে পরিচালিত অভিনয় কোর্সের সার্টিফিকেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফৈয়াজ খান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ শহীদ উল্লাহ, কোর্স ডিরেক্টর ও চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু, ড. আফজাল হোসেন খান, নাট্যকার অধ্যাপক আনন জামান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিল্পীদের অধিক সচেতন হতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে আসতে হবে। তবে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী চলচ্চিত্র মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হবে। চিত্রনায়ক ওমর সানী বলেন, আমাদের মনে রাখতে, বিশ্বের নানা দেশ চলচ্চিত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সেটা মাথায় রেখেই দেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে। নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু বলেন, বাংলাদেশে অনেকেই ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকায় অনেকেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না। আমরা চাই, যারা অভিনয় জগতে প্রবেশ করতে চান, তাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া। গ্রীন ইউনিভার্সিটি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফৈয়াজ খান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতকে আরও শাণিত করবে। এ কোর্স পরিচালনার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার আরও প্রসার ঘটবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ৭টি কোর্স তথা ‘বেসিক জার্নালিজম, ব্রডকাস্ট জার্নালিজম, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, এ্যানিমেশন, সংবাদ পাঠ ও রেডিও জকির ওপর তিন মাসব্যাপী কোর্স চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। ২০০৩ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম-টেলিভিশন এ্যান্ড ডিজিটাল মিডিয়া ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন দেশবরেণ্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
×