ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৫৫ শতাংশই ছাত্রী

মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্র কম, ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৯ মার্চ ২০২৪

মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্র কম, ছাত্রীর সংখ্যাই বেশি

৫৫ শতাংশই ছাত্রী

দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এছাড়া চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশল শিক্ষাসহ দেশের পেশাগত শিক্ষায় যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’– এর খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত এক কর্মশালায় খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এখন প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।


ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, দেশে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৮৪২টি (১৩০টি সরকারি)। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী পৌনে দুই লাখ। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। পেশার শিক্ষার মধ্যে আবার চিকিৎসা শিক্ষায় নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১০৯টি মেডিকেল কলেজের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ছাত্রী।

ব্যানবেইসের এ প্রতিবেদনে শিক্ষার আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এ ছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের হার ৫৩ শতাংশের বেশি, কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি, মাদ্রাসায় প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রীদের হার ২৯ শতাংশের বেশি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের হার ৩৭ শতাংশের বেশি। অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের এই হার আরও বেশি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যানবেইসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।

বারাত

×