ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০০:০৩, ২৭ অক্টোবর ২০২০

পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫ সালে নতুন পে স্কেল প্রদানের মাধ্যমে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা হালনাগাদ হয়নি। তাই এবার পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর মহাপরিচালক সভায় জানান, ২০০৪ সালে পেনশনার সঞ্চয়পত্র চালু হওয়ার সময় ক্রয়ের উর্ধসীমা ছিল ২০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এ সীমা বাড়ানো হয়। তিনি সভাকে আরও অবহিত করেন যে, ২০০৯ সালে পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিধিমালা সংশোধন করে পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় আরও আলোচনা হয় ২০১৫ সালে নতুন পে স্কেল প্রদানের মাধ্যমে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা হালনাগাদ হয়নি। তাই এ ক্ষেত্রে একজন সরকারী কর্মচারী আনুতোষিক ও ভবিষ্যত তহবিল হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে সভায় সিনিয়র সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম বলেন, এ ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত জটিলতা বৃদ্ধি পাবে এবং অনিয়মের সুযোগ তৈরি হবে। তবে পূর্বের এবং ২০১৫ সালের বেতন পর্যালোচনা করে সামগ্রিক বাস্তবতার নিরিখে পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এসব আলোচনার পর সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আগের এবং ২০১৫ সালের বেতন স্কেল পর্যালোচনা করে পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগের উর্ধসীমা নির্ধারণ করে পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিধিমালা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পেনশনার সঞ্চয়পত্রটি শুধু অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকরিদের জন্য। দেশে যত সঞ্চয়পত্র চালু আছে, তার মধ্যে এর গ্রাহকদেরই সবচেয়ে বেশি মুনাফা বা সুদ দেয় সরকার। মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় কোন উৎসে কর নেবে না সরকার। তবে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের মুনাফায় উৎসে কর ১০ শতাংশ। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ২০০৪ সালে চালু এ সঞ্চয়পত্র চালু করে। প্রাপ্ত আনুতোষিক ও ভবিষ্যত তহবিলের অর্থ মিলিয়ে একক নামে ৫০ (পঞ্চাশ) লাখ টাকা পর্যন্ত এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে যত সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়, তার ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ হচ্ছে পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
×

শীর্ষ সংবাদ:

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত
জেনে নিন এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
যে কারণে ইতালির ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে, জানাল দূতাবাস
তীব্র তাপদাহের পর ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা
শনিবার মাধ্যমিক, রোববার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না ৫ লাখ আবেদনকারী, শঙ্কায় চালকরা
ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ
সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ইউনূসহ ১৪ জনের জামিন
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়,অথচ বাইডেন চুপ!