অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিবছরই নবায়ন করতে হয় বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) একাউন্ট। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর নবায়ন না করায় প্রায় তিন লাখ বিও হিসাব বন্ধ করে দিয়েছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ (সিডিবিএল)। বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব বিও হিসাবের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আর লেনদেন করতে পারবেন না হিসাবধারীরা। প্রতি বছরই নবায়ন ফি প্রদান না করায় বিও হিসাব বন্ধ করে দেয় সিডিবিএল। তবে কয়েক বছরের মধ্যে এ বছরই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিও হিসাব বন্ধ করেছে সিডিবিএল। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র মতে, জুলাই মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত বিও হিসাব নবায়ন করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ২ লাখ ৮১ হাজার ১৫৮টি বিও হিসাব নবায়ন করা হয়নি। তাই হিসাবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গত জুন মাস শেষে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৯ হাজার ৮৫০টি। আর জুলাই মাস শেষে বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৯২টি। এক মাসের ব্যবধানে বন্ধ হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ১৫৮টি বিও হিসাব। গত বছর ২০১৮ সালের ৩০ জুন সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮৭টি। ৩১ জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ২০ হাজার ৪০৯টি। ৩০ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বন্ধ হয়েছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৮টি। চলতি বছর বন্ধ হওয়া বিও হিসাবের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ২০১৭ সালের ৩০ জুনে সক্রিয় বিও হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২৯ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৩টি। ৩১ জুলাইয়ে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪০টি। বছরটিতে এক মাসের ব্যবধানে বন্ধ হয়েছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯২টি বিও হিসাব। আলোচ্য সময়ে পুরুষ বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭০০টি। জুন মাসে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৩টি। এসময়ে পুরুষ বিও হিসাব বন্ধ করা হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ২৯৩টি। গত জুন মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৯টি। জুলাই মাস শেষে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ১৬৩টি। সে হিসাবে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বন্দ হয়েছে ৭৩ হাজার ৩৯৬টি। জুলাই মাসে কোম্পানি বিও হিসাব কমেছে ৪৬৯টি। জুন মাসে কোম্পানি বিও হিসাব ছিল ১৩ হাজার ২৯৮টি। আর গত মাসে কোম্পানি বিও দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮২৯টি। আলোচিত সময়ে পুঁজিবাজারে দেশী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০টি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: