অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসছে জানুয়ারি থেকেই প্রতি মাসে অন্তত একটি করে নতুন স্প্যান বসবে পদ্মায়। এমন প্রত্যাশা সেতু কর্তৃপক্ষের। এছাড়া, দৃশ্যমান পাঁচটি স্প্যানে শুরু হয়েছে স্ল্যাব বসানোর কাজও। সব মিলিয়ে মূল সেতু নির্মাণের ৭১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, খুঁটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কেটে গেছে পুরোপুরি। তাই, এখন থেকে কাজের গতি বাড়বে আগের চেয়ে।
প্রমত্তা পদ্মা এখন শীতল কুয়াশায় মোড়া শান্ত এক নদী। অথচ, মাস দুয়েক আগেও এর আগ্রাসী ছোবল কেড়ে নিয়েছে বহু জনপদ। ক্ষণে ক্ষণে রূপ আর আচরণ বদলানো পদ্মাকে তাই বলা হয় বিশ্বের অন্যতম অনিশ্চিত এক নদী। আর সেই নদীর বুকে শত বাধা মোকাবেলা করে তৈরি হচ্ছে; বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে দৃশ্যমান হয় দেড় শ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে প্রথম স্প্যান। তারপর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে সেই সংখ্যা। বর্তমানে পৌনে এক কিলোমিটার দাঁড়িয়ে গেছে ইট, পাথর, কংক্রিট আর ইস্পাতে গাঁথা এই সেতু। খুঁটির ওপর বসানো স্প্যানে শুরু হয়েছে কংক্রিটের কাজকর্ম। নক্সা অনুযায়ী, নিচের অংশ দিয়ে চলবে ট্রেন। সেসব জায়গায় বসানো হচ্ছে সø্যাব। যা শেষ হলে, স্থাপন করা হবে রেলট্র্যাক। প্রায় সারাদিন ধরে চলা এ ধরনের কাজই পূর্ণ বাস্তবায়নের পথ দেখাচ্ছে ত্রিশ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে। জটিলতায় পড়া ২২ খুঁটির নক্সা বদলের পর শুরু হয়েছে পাইলিং। সেগুলোতেও স্প্যান বসবে শীঘ্রই। এছাড়া, পুরোপুরি তৈরি রয়েছে আরও কয়েকটি খুঁটি। বাস্তবায়নকারী সংস্থা বলছে, আসছে জানুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতিমাসে অন্তত একটি করে স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। আর নবেম্বর পর্যন্ত হিসেব হলো, মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ৭১ শতাংশ। আর সার্বিক অগ্রগতি পাঁচ ভাগের তিনভাগ। যদিও, কিছুটা পিছিয়ে নদী শাসনের কাজ। চলতি বছরে এটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, নানা জটিলতার কারণে সময় বাড়ানো হচ্ছে আরও এক বছর। পদ্মা প্রকল্পে এরই মধ্যে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা।