নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক হাত-পা ও মুখ বেঁধে বাড়ির পাশের বাগানে তুলে নিয়ে ৫ যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে প্রথমে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। কিন্তু গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোর রাত ৩ টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে আটক করে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত অপর ৪ আসামিকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
এর আগে সোমবার রাতে ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১ টার দিকে নারী কন্ঠে ওই গৃহবধূর নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয়। পরে ঘরের দরজা খুলার সাথে সাথে মোঃ শিপন ওরপে আলাউদ্দিন, মোঃ বেল্লাল মেকার, মোঃ হেলাল, মোঃ ইউসুফ দালাল, মোঃ সেলিম মেকার ওই গৃহবধূর হাত,পা ও মুখ বেঁধে ফেলে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন সহ ধর্ষণ করে চলে যায়।
পরে রাত ১ টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা ওই গৃহবধুর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে ঘটনার দিন ওই গৃহবধুর স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলনা। ঘটনাশুনে সোমবার স্বামী বাড়িতে আসলে ওই গৃহবধূ রাতে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার ভোর রাত ৩ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মোঃ শিপন ওরপে আলাউদ্দিনকে আটক করে।
আটককৃত প্রধান আসামি হলেন, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে মোঃ শিপন ওরপে আলাউদ্দিন (৩৫)। মামলার অপর পলাতক ৪ আসামি হলেন, মোঃ বেল্লাল মেকার, মোঃ হেলাল, মোঃ ইউসুফ দালাল, মোঃ সেলিম মেকার। এদের সবার বাড়ি উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে। ঘটনার সাথে জড়িত ৪ আসামি পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। অপর ৪ আসামিকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
