ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চেন্ট ব্যাংক-ব্রোকারেজ হাউসের জন্য বিশেষ তহবিল চায় বিএসইসি

প্রকাশিত: ০০:০২, ২৭ অক্টোবর ২০২০

মার্চেন্ট ব্যাংক-ব্রোকারেজ হাউসের জন্য বিশেষ তহবিল চায় বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য নেগেটিভ ইকুইটি থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিশেষ তহবিল চেয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই বিশেষ তহবিলের আকার হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এই তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। যেখান থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য স্বল্পসুদে ঋণ নিতে পারবে। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয়ে গবর্নরের সঙ্গে দেখা করে এ প্রস্তাব দেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম। বিএসইসির চেয়ারম্যানের দেয়া প্রস্তাবগুলোর প্রতি নীতিগত সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর। সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, ‘বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের নেগেটিভ ইকুইটি আছে। এই নেগেটিভ ইকুইটিকে সাপোর্ট করার জন্য এবং বিনিয়োগে হেল্প করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সফট ইন্টারেস্টে বিশেষ তহবিল চেয়েছি।’ ‘ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর যে পরিমাণ নেগেটিভ ইকুইটি আছে, বিশেষ তহবিলের আকার সেই পরিমাণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে এই ফান্ডের আকার হবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো’, বলেন বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘এই বিশেষ তহবিল ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ ম্যানেজ করবে। মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো সেখান থেকে স্বল্পসুদে ঋণ হিসেবে নিতে পারবে।’ শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রত্যেকটি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকার বিশেষ ফান্ড গঠনের সুযোগ দেয়। এরপর একে একে কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও এই তহবিল গঠনে ব্যাংকগুলো তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিএসইসির বৈঠকে এ বিষয়টিও উঠে আসে। ব্যাংকগুলো যাতে দ্রুত এই বিশেষ তহবিল গঠন করে সেজন্য বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়। সেই সঙ্গে আইনী সীমার মধ্য থেকে ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
×