ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ২১:৩২, ১১ অক্টোবর ২০২০

শেয়ারবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন ঘটেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিনই কমেছে সূচক। তবে বাকি দুই কার্যদিবস বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে সব ধরনের সূচকের পতন ঘটেছে। এদিকে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অঙ্কে গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আলোচিত সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ১.৫৭ শতাংশ বা ৭৮.৩৫ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই-৩০ কমেছে ২.৪২ শতাংশ বা ৪১.৩৫ পয়েন্ট। অপরদিকে শরিয়াহ বা ডিএসইএস সূচক কমেছে ১.৫৭ শতাংশ বা ৭৮.৩৫ পয়েন্ট। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৬৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির কোম্পানির। আর দর কমেছে ২১৬টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির এবং লেনদেন হয়নি ৪টির। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে লেনদেন মোট ৪ হাজার ৬০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৯ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। তবে এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ৫৫৪ কোটি ৭৮ লাখ ৮১ হাজার ৪২৫ টাকার। সেই হিসাবে সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১.১০ শতাংশ। আর সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯.৬০ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১৩.৭৮ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ৪.৮৬ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে ১.৭৭ শতাংশ। সপ্তাহ শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ১৫২.১০ পয়েন্ট বা ১.৭৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪২৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে হাতবদল হওয়ার ৩১৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭ কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির। এগুলোর ওপর ভর করে গত সপ্তাহে ১৪৯ কোটি ৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মহাদাপট দেখিয়েছে বীমা খাত। ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষ আটটি স্থানই দখল করেছে বীমা খাতের কোম্পানি। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের ওপরে দাম বেড়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠানের। বাকি পাঁচটির মধ্যে চারটির দাম বেড়েছে ২০ শতাংশের ওপরে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে দামের তালিকায় শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪১ দশমিক ১৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫২ টাকা ৫০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৭ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬ এবং ২০১৫ সালেও কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল। দাম বাড়ার দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেছে নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটিরৃ শেয়ারের দাম বেড়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩৯ দশমিক ২২ শতাংশ। পরের স্থানটি দখল করেছে ইসলামিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম। এটি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ১০ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারের দাম ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বাড়ার মাধ্যমে চতুর্থ স্থানটি দখল করেছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ টাকা ১০ পয়সা। ৭ টাকা বা ২২ দশমিক ৫৮ শতাংশ দাম বেড়ে পরের স্থানে রয়েছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স।
×