ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফসল চাষে অনিশ্চয়তা

সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

প্রকাশিত: ২১:১০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

সাঁথিয়ায় পানি নিষ্কাশন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ সাঁথিয়ায় নিষ্কাশন ক্যানেলে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায় পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১২ গ্রামের হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল চাষের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার কৃষকরা অবিলম্বে প্রতিকার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের ‘ছোন্দহ ব্রিজ থেকে ধরের ব্রিজ পর্যন্ত নিষ্কাশন ক্যানেলে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরায় স্বাভাবিকভাবে পানি নিষ্কাষিত হচ্ছে না। অথচ এ ক্যানেল দিয়েই রামকান্তপুর, রাউতি, ফুলবাড়ি, চৌবাড়িয়া, ভায়নাপাড়া, চুলকাটি, দাড়ামুদা, ছোন্দহসহ ১২ গ্রামের কৃষকের জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। জানা গেছে, ছোন্দহ ক্যানেলটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের নিকট থেকে লিজ নিয়ে ছোন্দহ গ্রামের মহসিন, মহাতাব, মঞ্জুর কাদের, আজমত, উজ্জ্বল, জাফর, রশিদ, বদি, ফারুক গংরা বাঁশ-চটের বাঁধ দিয়ে পানি বন্ধ করে মাছ ধরছে। নিষ্কাশন ক্যানেলে বাঁধ দেয়ায় স্বাভাবিকভাবে পানি নিষ্কাষিত না হওয়ায় ১২ গ্রামের কৃষকের পেঁয়াজ, রসুন, রাই, সরিষা, গমসহ রবিশস্য আবাদ নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ছোন্দহ গ্রামের ক্যানেলের দু-পাড়ের অধিবাসীদের অভিযোগ লিজ গ্রহণকারীরা তাদের নিজ জমিতেও যেতে দেয় না। ক্যানেলের বাঁধ অপসরণে দুই শাতাধিক লোকের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সাঁথিয়া ইউএনওসহ বিভিন্ন দফতরে দেয়া হয়েছে। লিজগ্রহীতা ছোন্দহ গ্রামের মাহাতাব আলী জানান, ছোন্দহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লাকে ১ লাখ টাকা দিয়ে তিনি এ ক্যানেল লিজ নিয়ে মাছ ধরছেন। তিনি কোন কাগজ ছাড়াই মৌখিকভাবে লিজ নিয়ে মাছ ধরার কথা জানান। এ ব্যাপারে রবিউল ইসলাম প্রথমে লিজ দেয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হয় নিষ্কাশন ক্যানেল কোন আইনে আপনি ইজারা দিলেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনিই আবার লিজ দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। পানি নিষ্কাশনে বাঁধার বিষয়ে তিনি জানান, কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও গতকাল তদন্ত করে দেখেছেন ক্যানেলে ভরা বর্ষা মৌসুমে বাঁধ দেয়ায় কৃষকের কোন ফসল চাষে ক্ষতি হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া ইউএনও এস এম জামাল আহম্মেদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এইমাত্র অভিযোগ পেলাম। চেয়ারম্যান বেশি বলেছেন আমি এখনই এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এলাকার কৃষকেরা অবিলম্বে ক্যানেলে বাঁধ অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×