ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাবান্ধা দিয়ে পাইপ লাইনে ভারতের জ্বালানি তেল আসবে দেশে

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৩০ আগস্ট ২০১৯

বাংলাবান্ধা দিয়ে পাইপ লাইনে ভারতের জ্বালানি তেল আসবে দেশে

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট হয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন। এই পাইপ লাইন দিয়ে ভারত থেকে প্রথম ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। জ্বালানি তেল আমদানিতে দেশে তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি মূল্যও কমবে। প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি সম্ভব হচ্ছে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ভারতের শিলিগুঁড়ির নুমালীগড় তেল শোধনাগার থেকে পাইপ লাইন দিয়ে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা হয়ে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে হবে মর্মে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সূত্র মতে, ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এ পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা যাবে। পঞ্চগড় জেলায় ৬৭ কিলোমিটার পেরিয়ে ঠাকুরগাঁও অতিক্রম করে পাইপ লাইনটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে যাবে। ইতোমধ্যে পাইপ লাইন স্থাপন প্রক্রিয়া হিসাবে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে সাড়ে চার হাজার প্লটের কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে জেলা প্রশাসন। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পাইপ লাইন স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ভারত সরকার দেবে ৩০৩ কোটি রুপী এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ২১৭ কোটি টাকা ব্যয় করবে। পাইপ লাইনের মোট দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতে রয়েছে ৫ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে সময় লাগবে প্রায় তিন বছর। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের মানুষ জ্বালানি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান জানান, ইন্দোবাংলা পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে জমি অধিগ্রহণের জন্য তালিকা করা হচ্ছে।
×