স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আবার সচল হয়েছে। এর আগে নাব্য সঙ্কটে দেশের ২১ জেলার চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুট বুধবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে বন্ধ হয়ে যায়। সকালে আবার ফেরি চলাচল সচল হলেও সব ফেরি চলতে পারছে না। নয়টি ফেরি চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। একদিকে পদ্মায় তীব্র স্রোত আর অন্যদিকে নাব্য সঙ্কট এই উভয় সঙ্কটে ফেরি চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে।
বেশ ক’দিন ধরেই এই রুটে ফেরি চলছে, কখনও বন্ধ থাকছে, কখনও ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ছে, কখনও স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সব ফেরি চলতে পারছে না। এভাবেই চলছে এই রুটের ফেরি সার্ভিস। শিমুলিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৪শ’ যান। এতে আসন্ন ঈদে এ নৌরুটে বিপর্যয়ে পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ নসির উদ্দিন, নাব্য সঙ্কট নিরসনে ৫টা ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ভাটিতে গতবারের বিকল্প চ্যানেলটি ড্রেজিং শেষে বৃহস্পতিবার খুলে দেয়া হয়েছে। বিকল্প চ্যানেলটি দিয়েই পরীক্ষামূলকভাবে এখন ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। তবে এ নৌরুটে চলতে গেলে পূর্বে থেকে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগবে। তিনি বলেন বর্তমানে ১৮টি ফেরির মধ্যে নয়টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। পদ্মায় পলি পড়ে নাব্য সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় ফেরিগুলো চলতে পারছে না। ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত গভীরতা নেই এই নৌরুটে। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ডাউন চ্যানেলের মুখে নাব্য সঙ্কট দেখা দেয়ায় ফেরিগুলো চ্যানেল পাড়ি দিতে পারছে না। এখানে ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত পানি নেই। লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের মুখে আসলেই নাব্য সঙ্কটের কারণে ফেরিগুলো ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: