ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ॥ রাষ্ট্রপতির কাছে ৬৬ আমলার চিঠি

বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ ইসি

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ১১ এপ্রিল ২০১৯

বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ ইসি

নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের সাবেক ৬৬ আমলা। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে বিজেপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে এ অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে এ চিঠি লেখেন। উদাহরণ হিসেবে এসব আমলা ভারতের প্রথম এ্যান্টি-স্যাটেলাইট (এ-স্যাট) অস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতির উদ্দেশে ভাষণ, ওয়েব-সিরিজ ‘মোদি : এ কমন ম্যান’স জার্নি’ প্রকাশ এবং নামো টিভি চ্যানেল উদ্বোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা উল্লেখ করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘মোদির সেনাবাহিনী’ ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে শুরুতেই নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে মৃদু তিরস্কার করে দায় সেরেছে। চিঠিতে তারা বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ ও জটিলতা সত্ত্বেও অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভারতের নির্বাচন কমিশন দীর্ঘ ও সম্মানজনক অবস্থান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা সঙ্কটের মুখে। এ বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানাতেই এ চিঠি। চিঠিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে আপোস করেছে বলে মনে হয়েছে। এর ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে, যেটি ছিল ভারতের গণতন্ত্রের মূল ভিত। এতে বলা হয়, ‘শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি, ভারতের নির্বাচন কমিশনের নতজানু কার্যক্রমে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানকে সর্বকালের সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য অবস্থানে নামিয়ে এনেছে। নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে জনগণের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আমাদের ভবিষ্যত গণতন্ত্রের জন্য অশুভ পরিস্থিতি বয়ে আনবে। আমরা আশা করি, পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝবে ভারতের নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন রাজস্থানের সাবেক মুখ্যসচিব সালাউদ্দিন আহমাদ, পাঞ্জাবের সাবেক মহাপরিচালক জুলিও রিবেরিও, প্রচার ভারতীর সাবেক সিইও জাওহার সরকার, দিল্লীর সাবেক লে. গবর্নর নাজিব জং ও পুনের সাবেক পুলিশ কমিশনার মিরান বরবঙ্কার। তারা অন্ধ্রপ্রদেশের তিন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ও মুখ্যসচিব এবং পশ্চিমবঙ্গেও চার পুলিশ কর্মকর্তার বদলির বিষয়টিও উল্লেখ করেন।
×