ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিকল্প কিছু হতে পারে না

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

 ব্রেক্সিট পরিকল্পনার  বিকল্প কিছু হতে  পারে না

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, তিনি মনে করেন না তার দেয়া ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিকল্প কিছু হতে পারে। মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা পরিকল্পনাটিতে সংশোধনী আনার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এমন সংবাদের মধ্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। পরিকল্পনাটি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ইইউ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। সান সাময়িকীতে মে লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিবেচনার জন্য কোন বিকল্প পরিকল্পনা নেই, ইইউর সঙ্গে মতৈক্যে আসার জন্য ভিন্ন কোন উপায়ও আমাদের সামনে খোলা নেই। এমপিরা যদি আমার এই পরিকল্পনাকে সমর্থন না করেন তবে সবকিছু আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। যার ফল হবে আরও বেশি মতপার্থক্য ও আরও বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়া, ব্রিটিশ জনগণ যে বিষয়ে ভোট দিয়েছে সেটি বাস্তবায়নে আমরা ব্যর্থ হব।’ ডিভোর্স বিল নামে পরিচিত মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনাটি বুধবার তার মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা অনুমোদন করেন। এর একদিন পর তার ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাব পদত্যাগ করলে মে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির যেসব সদস্য তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন তারা প্রকাশ্যেই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলছেন। তারা বলছেন, পরিকল্পনাটি পার্লামেন্টে অনুমাদিত হবে না। অন্যদিকে ব্রেক্সিট ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়াকে যারা সমর্থন করেন তারাও এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হলে ব্রেক্সিটের পরও ব্রিটেন অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ইইউর আইন-কানুনের অধীনে থেকে যাবে। পার্লামেন্ট বিষয়কমন্ত্রী আন্ড্রিয়া লিডসম বলেছেন, তিনি মে’র পরিকল্পনা সমর্থন করেন তবে পরিকল্পনাটি নিয়ে তিনি সার্বিকভাবে সন্তুষ্ট নন। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কভেনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘ব্রিটেনের ব্রেক্সিটপন্থী মন্ত্রীরা যদি ইইউর সঙ্গে একমত হওয়া পরিকল্পনায় রদ বদল আনতে চান তবে বলতে হবে যে তারা বাস্তব জগতে বাস করেন না। মে যেন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন সেই লক্ষ্যে লিডসম ব্রেক্সিটপন্থী মন্ত্রী ও উৎসাহীদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা করছেন, এদের মধ্যে আছেন মাইকেল গোভ, লিয়াম ফক্স, ক্রিস গ্রেলিং ও পেনি মর্ডন্ট। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদপত্রগুলোতে এ রকম খবর ছাপা হয়েছিল।
×