ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় হালদা সেতু ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ২৪ জুন ২০১৮

বন্যায় হালদা সেতু ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ২৩ জুন ॥ সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভা এলাকায় হালদা নদীর উপর নির্মিত শতবর্ষী পুরাতন হালদা সেতুটি বন্যায় ধসে গেছে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বৃহত্তর ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীর উপজেলার ৫ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী বেকাদায় পড়েছে। তাছাড়া, চট্টগ্রামের উত্তরাঞ্চলীয় বাণিজ্যিক কেন্দ্র নাজিরহাটে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। ১৫ জুন গভীর রাতে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে নাজিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সেতু জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করে দেয়। পরে, এলাকাবাসী চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে। জানা গেছে, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৯ সালে তৎকালীন ডিস্ট্রিক বোর্ড (বর্তমান জেলা পরিষদ) ফটিকছড়ি-হাটহাজারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা নাজিরহাটে এ সেতু স্থাপন করে। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ডিনামাইট দিয়ে সেতুটির একাংশ ধ্বংস করে দেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে সেতুটি মেরামত করে পুনঃ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে (এলজিইডি) ৩ শ’ ৩০ ফুট দীর্ঘ এ সেতুটির ওপর দিয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বৃহত্তর ফটিকছড়ি এবং হাটহাজারী উপজেলার লাখো জনসাধারণ ছাড়া ও ট্রেন যাত্রীদের যাতায়াতের একমাত্র নির্ভর এ সেতু। বর্তমানে সেতুটি ধসে যাওয়ার কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অন্যদিকে, ধসে যাওয়া এ সেতুটি এভাবে পড়ে থাকলে যে কোন মুহূর্তে সেতুটি বিধস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি, দীর্ঘ ৩ শ’ ৩০ ফুট দীর্ঘ (১০০ মিটার) সেতুর অভাবে স্থানীয় সর্বসাধারণ ১০০ মিটারের পরিবর্তে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। তাই, জনস্বার্থে এখানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
×