ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে তুচ্ছ অজুহাতে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী তেঁতুল গাছ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আদমদীঘিতে তুচ্ছ অজুহাতে কাটা হচ্ছে শতবর্ষী  তেঁতুল গাছ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, বগুড়া, ২৩ ফেব্রুয়ারি ॥ ডাল ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় এবং বাড়ি-ঘড়ের ক্ষতি হয় এই অজুহাত দেখিয়ে সরকারী জমিতে থাকা শতবর্ষী বিশাল আকারের একটি তেঁতুল গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। গ্রামের মসজিদের উন্নয়ন কাজে লাগানোর কথা বলে অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনাটি ঘটেছে আদমদীঘি উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী সিঙ্গাহার গ্রামে। এই গাছ বিক্রি ও কাটার কাজে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রায়হান কবির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিন ওই গ্রামের প্রবেশ মুখেই দেখা মেলে শত বছর বয়সী বিশাল দেহী গাছটি কাটার কাজ করছে গাছ ক্রেতার করাতি শ্রমিকরা। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে গাছ কাটার কাজে বিরতি দেয়া হয়। এগিয়ে আসেন গ্রামের নানা বয়সী মানুষ। তারা দাবি করেছেন মোতওয়াল্লী নিযুক্ত ওই গাছের জায়গাসহ মোট ৪ বিঘা জমির বর্তমান মালিক দাবিদার ছালামত হোসেন গ্রামের মসজিদের উন্নয়ন করার জন্য দান করেছেন। তাছাড়া ওই গাছের ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় এবং পাশের বাড়ি-ঘরে পড়ে ক্ষতি করে বলে দাবি করেন। গাছটি কেটে ফেলার জন্য মসজিদ কমিটি চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামের অনুমতি নেয় এবং ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রায়হান কবিরের মাধ্যমে গাছটি ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি ও কেটে ফেলার ব্যবস্থা করে। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের কোন অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা তা তারা জানেন না। এ বিষয়ে বর্তমান মালিক দাবিদার ছালামত হোসেন বলেন, খতিয়ান মূলে তার পূর্বপুরুষ ওই গাছসহ ৪ বিঘারও বেশি জমির মালিক। কিন্তু ওয়ারিশ সূত্রে তিনি ওই জমির মালিক হলে এখনও মোতওয়াল্লী কেন এই প্রশ্নে নীরব থাকেন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রায়হান কবির গাছ বিক্রি ও কাটায় তার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
×