ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নাজমুল রনির টেলিফিল্ম ‘গহীনে’

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নাজমুল রনির টেলিফিল্ম ‘গহীনে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘গহীনে’। আসাদুজ্জামান সোহাগের গল্প ও চিত্রনাট্যে টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন তরুণ মেধাবী নাট্য নির্মাতা নাজমুল রনি। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুর নূর সজল, তানজিন তিশা, সাবিহা জামান, তমা প্রমুখ। ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশনসের ব্যানারে নির্মিত, স্মাস্ মিডিয়া প্রযোজিত ‘গহীনে’ টেলিফিল্মটি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১০-৫৫ মিনিটে এটিএন বাংলায় টিভি ফিল্ম অব দ্য উইকেন্ডে প্রচার হবে। ‘গহীনে’ টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যাবে আদনান ও জয়ীতার ৮ বছরের বিবাহিত সংসার। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তাদের এই সংসার এখন সংঘাতে পরিণত হয়েছে। একজন আর একজনকে যেন কিছুতেই সহ্য করতে পারে না। একজনের আচার-আচারণ অন্যজনের কাছে অসহ্য মনে হয়। আদনানের নাক ডেকে ঘুমানো, সাওয়ার শেষে ভেজা টাওয়েল বিছানার উপড়ে ছুড়ে ফেলা কিংবা শব্দ করে কফি খাওয়া সব কিছুই জয়ীতার কাছে অসহ্য মনে হয়। ঠিক একইভাবে জয়িতার সারাক্ষণ হিন্দি সিরিয়াল দেখে হাহা-হিহি করে হাসা, কাড়ি কাড়ি টাকার শপিং করে অযথা টাকা ওড়ানো, অনেক সময় ধরে ফোনে কথা বলা অথবা সাওয়ার করতে ঘণ্টা অব্দি লাগানো সব কিছুই আদনানের কাছে বিরক্তিকর মনে হতে থাকে। এই নিয়ে প্রতিদিন তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। কথায় কথায় একজন আর একজনকে ডিভোর্স দেয়ার কথা বলে। অথচ ওরা ভালবেসে পরিবারের অমতে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল দুজনে। দীর্ঘদিন ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ করে কি যে হলো সেই গোছানো সংসারে কে জানে! দেখতেই পারে না একজন আর একজনকে। ঠিক এমন সময় রুনু খালা নামে ওদের বিয়ের সেই উকিল মা বেড়াতে আসে ওদের বাসায়। দুজনেই বলে যে, তারা আর একসঙ্গে থাকতে চায় না। তারা ডিভোর্স চায়। খালা ডিভোর্সের জন্য উকিলের কাছে যাওয়ার আগে ওদের তাদের এক পরিচিত কনসালটেন্টের সঙ্গে দেখা করতে বলে। রাজি না থাকা সত্ত্বেও শেষ মেস দুজনেই যায় কনসালটেন্টের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এখানে আসার পর ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। কনসালটেন্টের অফিসে এসেও ওরা একে অন্যের নানা দোষ ধরে ঝগড়া করতে থাকে। এক পর্যায় কনসালটেন্ট ওদের দুজনকেই জীবনের নানা দিক থেকে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকে। কখনও ওদের প্রথম ভাললাগা আর ভালবাসা সম্পর্কে, কখনও ওদের প্রিয় কোন জায়গা অথবা বিষয় নিয়ে, কখনও ওদের ভালবাসার মিষ্টি কোন মুহূর্ত নিয়ে অথবা কখনও বিয়ের আট বছরেও কেন এখনও ওদের ঘরে কোন সন্তান হলো না এ বিষয় নিয়ে। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে কখনও ওরা ইমোশনাল কখনও ওরা ভালবাসায় মাখা স্বপ্নের স্মৃতিতে বিভোর হয়। একটা সময় ওরা যে আসলে সাইক্রিয়াটিস্টের কাছে কি জন্যে এসেছে সেটাই কথাই ভুলে যায়। ভালবাসায় ভরা নিজের প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার গল্পে বিভোর হয় বার বার। নিজেদের জীবনের গল্পে বিভোর হয়ে কখনও ওরা সাইক্রিয়াটিস্টের সঙ্গে হেসেছে, কখনও কেঁদেছে আবার কখনও বিরক্ত হয়েছে একে অন্যের প্রতি। আবার কখনও এক ঝটকায় স্মৃতি থেকে ফিরে এসে ডিভোর্সের ব্যাপারেই অটল রয়েছে দুজন। একসময় সাইক্রিয়াটিস্ট তাদের কাছে তাদের সবচাইতে প্রিয় একটা মুহূর্তের কথা জানতে চায়। জয়িতা-আদনান দুজনেই আবার স্মৃতিতে চলে যায়।
×