ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে পাট, প্লাস্টিক চামড়া রফতানি

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১১ আগস্ট ২০১৭

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে পাট, প্লাস্টিক চামড়া রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি থাকলেও উদীয়মান তিন খাতের অবস্থা নাজুক। উদীয়মান খাতগুলোর মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও চামড়া পণ্যের রফতানি আয় কমেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবির প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) জুলাইয়ে একক মাস হিসেবে প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে। জুলাই মাসে প্লাস্টিক পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। সেখানে রফতানি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের জন্য প্লাস্টিক পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪৮ মিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছর (২০১৬-১৭) প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হয়েছে ১১৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলার। প্লাস্টিক পণ্যের মধ্যে পিভিসি ব্যাগ রফতানি হয়েছে ২ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার, যেখানে জুলাই মাসে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলার। প্লাস্টিক ওয়েস্ট রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার, যেখানে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার। প্লাস্টিক খাতের অন্যান্য পণ্যের রফতানি হয়েছে ৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ডলার, যেখানে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে আরেক উদীয়মান খাত চামড়াজাত পণ্যের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় কমেছে। বছরের শুধু জুলাই মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৯ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলার। রফতানি হয়েছে ১১৬ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২ দশমিক ০৭ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের জন্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ মিলিয়ন ডলার।
×