ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিপন্ন পরিবেশ, পাঠদান ব্যাহত

বিদ্যালয়ের মূল ফটক যেন ময়লার ভাগাড়

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২২ জুলাই ২০১৭

বিদ্যালয়ের মূল ফটক যেন ময়লার ভাগাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২১ জুলাই ॥ আমতলী একে পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটক যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠেছে। ক্লাস চলাকালীন পচা গন্ধে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ময়লার পচা পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমানের অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ময়লা ফেলেছে। তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা তা মানছেন না।জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে উপজেলা শহরের আমতলী একে পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজার ২৫০ জন। এ বিদ্যালয়টি সরকারীকরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদ্যালয়ের মূল ফটকের রাস্তার দুই পাশে দুটি খাদ রয়েছে। খাদের পাড়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। ওই খাদে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গত দুই বছর ধরে ময়লা ফেলছে। প্রথমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি। খাদ দুটি ভরে ময়লার স্তূপ বিদ্যালয়ের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছেছে। ময়লার স্তূপে মূল ফটক নিশ্চিহৃ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ময়লার পচা পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এদিকে গত ১০ বছর আগে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাকা রাস্তা ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ময়লার স্তূপে বিদ্যালয়ের মূল ফটকের রাস্তা আটকে গেছে। রাস্তার দুই পাশে ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ময়লা গড়িয়ে রাস্তার দুই পাশের পানির সঙ্গে গড়াগড়ি খাচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নাক চেপে ময়লা ও পচা পানির ওপর দিয়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। ময়লায় খাদ দুটি ভরে গেছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আনতারা ইসলাম আনিশা, সাইফুল ইসলাম ও সেলিম খান বলেন ময়লার স্তূপে বিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের প্রবেশ করতে ময়লার পচা পানির ওপর দিয়ে যেতে হয়। এতে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। ময়লার পচা গন্ধে পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ময়লার পচা দুর্গন্ধে বিদ্যালয়ে থাকা যাচ্ছে না। ক্লাস চলাকালীন গন্ধে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। চারদিকে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। নাক চেপে ক্লাস করতে হয়। ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, ময়লার দুর্গন্ধে দোকানে থাকা যায় না। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভার লোকজন এখানে ময়লা ফেলছে। বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ নিয়াজ মোর্শ্বেদ বলেন ময়লার পচা গন্ধে ক্লাসের পাঠদান ব্যাবত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তার অপরপাশে পৌর কর্তৃপক্ষ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করছে। ওই টয়লেটের ময়লা সরানোর জন্য রাস্তার নিচ দিয়ে পাইপ এনে খাদের পাশের ড্রেনের সঙ্গে মিশিয়েছে। ওই ময়লা যখন ছেড়ে দেয় তখন পাঠদান তো দূরের কথা বিদ্যালয় এলাকার থাকাই যায় না। পরিবেশ আরও দূষিত হয়ে উঠে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বজলুর রহমান বলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গত দু’বছর ধরে এভাবে ময়লা ফেলে আসছে। তাদের নিষেধ করা সত্ত্বেও শুনছে না। তিনি আরও বলেন পৌর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
×